বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত এখন ‘স্বৈরাচারের দেশ’, অবস্থা বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ, রিপোর্ট সুইডিশ সংস্থার

চলতি সপ্তাহেই মার্কিন সংগঠন ফ্রিডম হাউজের রিপোর্ট-এ ভারতের 'স্বাধীন' বৈশিষ্ট্যটি লোপ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে ভারত এখন 'আংশিক স্বাধীন' দেশ।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’ আখ্যা দেওয়া হল এক সুইডিশ রিপোর্টে। ‘গত দশ বছরে বিশ্বের কোনও দেশে এত বড় একটা পরিবর্তন হয়নি,’ বলছে সমীক্ষা।

সুইডেন-এর ভ্যারাইটিজ অফ ডেমোক্রাসি ইন্সিটিউট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রে মানের সমীক্ষা প্রকাশ করে। সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সামাজিক পরিবেশ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি বহু গণতন্ত্রের মূল বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী লিবারাল ডেমক্রাসি ইন্ডেক্স-এ ভারতের প্রায় ২৩% অবনতি হয়েছে। গত দশ বছরে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে আকস্মিক পতনের মধ্যে এটি অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারত তার ১৩০ কোটি নাগরিকসহ এখন নির্বাচনী স্বৈরাচারের দেশে পরিণত হয়েছে। কারণ, ‘সংবাদ মাধ্যমকে কিনে নেওয়া, বিরোধীদের বিরুদ্ধে লাগাতার মামলা দায়ের, দেশ বিরোধী আইনের অতিরিক্ত ব্যবহার এখন খুব সাধারণ ব্যবহার হয়ে গেছে ভারতে। অর্থ ও ক্ষমতার ব্যবহার করে কিনে নেওয়া হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে। ‘

ওই রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘ভারত এখন পাকিস্তানের মতোই স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে। আর ভারতের গণতন্ত্রের অবস্থা এখন প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ। গণতন্ত্রের এই পতন শুরু হয়েছে ২০১৪ সালে থেকে, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে। মূলত হিন্দু এজেন্ডা সামনে রেখে এই দেশ এখন চলছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় ৭০০০ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেওয়া হয়েছে – বিজেপি সরকারের সমালোচনা করার জন্য।’

আরও পড়ুন: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কৃষি আইন নিয়ে বিতর্ক, ‘একপেশে আলোচনা’ বলে বার্তা ভারতের

ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব বিলের বিরোধীতা করার জন্য ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে ব্যাপক ভাবে ‘ইউএপিএ’ আইনে ধরপাকড় শুরু করে। এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের উপর, স্কুল – কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী পড়ুয়াদের উপর, সমাজসেবীদের উপর এবং বিরোধীদের উপর। বিভিন্ন ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সাদাহরণ মানুষকে।

Foreign Contributions Regulation Act -এর অহেতুক প্রয়োগ করে মানবাধিকার সংস্থার কর্মীদের বিদেশ দেখে বাইরে আসা ও এ দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার উপর বিধিনিষেধ চাপানো হচ্ছে বলে ওই রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে।  ভারতের সঙ্গে এই একই তালিকায় রাখা হয়েছে হাঙ্গেরি ও তুরস্ককে।

২০১৪ সালে ভ্যারাইটিজ অফ ডেমোক্রাসি ইন্সিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন সুইডেনের বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্ট্যাফান লিন্ডবার্গ। প্রতি বছর বিশ্বের ২০২টি দেশের ৩ কোটি ডেটা পয়েন্ট-এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রের মান প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।

চলতি সপ্তাহেই প্রায় একইরকম একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। মার্কিন সংগঠন ফ্রিডম হাউজের রিপোর্ট-এ ভারতের ‘স্বাধীন’ বৈশিষ্ট্যটি লোপ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে ভারত এখন ‘আংশিক স্বাধীন’ দেশ। তার রেশ কাটার আগেই এই নতুন রিপোর্টে অস্বস্তিতে মোদী সরকার।

আরও পড়ুন: এক ডোজের দাম ১৮ কোটি টাকা! জানেন, বিশ্বের সব চেয়ে দামি ওষুধ কোন অসুখে কাজে আসে?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest