‘আসল’ অযোধ্যা খুঁজতে নামল নেপাল! ভুরু কুঁচকে নজর রাখছে গেরুয়া শিবির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রামচন্দ্রের জন্মভূমি অযোধ্যা তাঁদের দেশে। এমন দাবি করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তিনি দমে যাওয়ার পাত্র নন। এবার আসল অযোধ্যায় খোঁজে খোঁড়াখুড়ির নির্দেশ দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। নেপালের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বিভাগ এবার আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে।

ওলির দাবিতে সুর মিলিয়েছিলেন নেপালের বিদেশমন্ত্রীও। তিনিও বলেছিলেন, রামায়ণ ও রামচন্দ্রের বাসভূমির ইতিহাসের ভিত বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে। এই নিয়ে কখনও তেমন গবেষণা হয়নি। সঠিক পথে গবেষণা করলে রামায়নের ইতিহাস বদলে যেতে পারে।

আরও পড়ুন : শুক্রবার আর একদফা কমল সোনার দাম, সস্তা হল রুপোও

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্তারা মাঠে নেমেছেন। নেপালের দক্ষিণে থোরি অঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় খনন কাজ শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। রামের জন্মভূমি নিয়ে গবেষণাও শুরু করবে তারা।

নেপালের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ডিজি দামোদর গৌতম জানিয়েছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর দাবির ভিত্তিতে তাঁদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। দেশের পুরাতাত্মিক ইতিহাস নিয়ে তারা অনুসন্ধান করবেন।

ওলির দাবি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছে। অযোধ্যার সাধু, মহন্তরা ইতিমধ্যে ওলিকে কথা শুনিয়েছেন। তবে নেপাল রামচন্দ্রের বাসভূমি খুঁজে বের করতে উঠেপড়ে লেগেছে।

ইতিহাসবিদ, সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ, ধর্মগুরু, শিক্ষক, গবেষকদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করবে নেপালের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সেখানে সবার মতামত জানার পর আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় খননকাজ শুরু করা হবে। এমনকী কোন জায়গায় প্রথমে খোঁড়াখুড়ি শুরু হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে।

অযোধ্যা বিজেপির বহু পূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। সেই ইস্যুকে তারা আস্থায় মুড়ে ইতিহাসে রূপদানের চেষ্টা করেছে দীর্ঘদিন ধরে। মোদী জমানাতে তারা একাজে সফল। সুপ্রিম কোর্টও রায় দেয় আস্থার ওপর বড় করে। যা ছিল নজির বিহীন। সেই মন্দির নিয়ে যদি এখন নেপাল টানা-টানি করে তাহলে কাঁহাতক তা সহ্য করা যায়! ফলে গেরুয়া শিবিরের লোকজন খুব বিরক্ত হয়ে নজর রাখছেন কাঠমান্ডুর দিকে। কেউ কেউ বলছেন সবটা করাচ্ছে চীন। আবার কেউ বলছে ওলির অবস্থা ভালো না। তাই রামের আশ্রয় নিয়ে বাঁচতে চাইছে।

আরও পড়ুন : ৬ হাজার বছর পর আসছে ধূমকেতু নিওওয়াইস, দেখা যাবে খালি চোখে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest