এভাবেও হয় বর্ষবরণ!‌ জেনে নিন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার যত আজব রীতি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আর মাত্র একটা দিন। তার পরেই বিদায় নেবে ২০২০। আসবে ২০২১। অনেক আশা, অনেক অপূর্ণ আকঙ্ক্ষা নিয়ে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে গোটা দুনিয়া। নিজের মতো করে। ভুলে যাবে পুরনোকে। তবে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর রীতিনীতি কিন্তু সবার, সব দেশের এক নয়। অদ্ভুত কিছু প্রথা মেনে এ দুনিয়ার বহু মানুষ স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। কীভাবে?‌ জেনে নিই—

  • ডেনমার্ক 

ডেনমার্কের বর্ষশেষের উৎসবের নিয়ম একেবারেই অন্যরকম। যখন সারা বিশ্বের মানুষ নাচ, গানে মেতে ওঠেন সর্বত্র, তখন ডেনমার্কের মানুষেরা কাচের বাসন ভাঙতে ব্যস্ত থাকেন। বছরের শেষদিন সন্ধে থেকেই বাড়ির পুরনো, অব্যবহৃত কাচের বাসন বন্ধুদের বাড়ির সামনে চুপিচুপি ভেঙে আসেন সকলে। যাঁর বাড়ির সামনে যত বেশি কাচের টুকরো জমা থাকবে, সে তত বেশি জনপ্রিয়। এমনটাই ধরে নেন ওখানকার মানুষেরা

  • ব্রাজিল

ব্রাজিলিয়ানদের জন্য দিনটা উদরপূর্তির দিন। মধ্যরাতের আগে তাঁদের অন্তত সাতটি কিশমিশ খেতে হয়। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদের আশায় রিও ডি জেনিরোর কোপা কাবানা সমুদ্র সৈকতে নৌকায় ফুল ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

মেক্সিকোয় যাঁরা নতুন বছরে নতুন প্রেম চান, তাঁরা ১ জানুয়ারি লাল অন্তর্বাস পরেন। যাঁরা ধনী হতে চান, হলুদ অন্তর্বাস পরেন। যাঁরা জীবনে শান্তি চান, সাদা অন্তর্বাস পরেন।

  • অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়ানদের নববর্ষ উদযাপন দুই ধাপে হয়। প্রথম ধাপে তাঁরা শুকরের খুলিতে নিজেদের লুকিয়ে থাকা  সৌভাগ্য খুঁজে বেড়ায়। দ্বিতীয় ধাপে তারা আর্থিক সৌভাগ্যের জন্য পেপারমিন্ট আইসক্রিম বানায়।

  • স্পেন

স্পেনে দ্রুত খাওয়ার প্রতিযোগীতা হয় নববর্ষে। নতুন বছরটা তাঁরা ১২ টি আঙুর খেয়ে শুরু করে। মনে করা হয় এটা না করলে সৌভাগ্য কাছে ঘেষবে না।

  • সুইজারল্যান্ড

সুইসরা নববর্ষের খাবার বানায়, কিন্তু সেটা খেয়ে দেখেনা। কেকের ক্রিম করে সেটা তাঁরা ফ্লোরে ছড়িয়ে দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। মনে করে, এটা করাতে তাঁরা আরো সম্পদশালী হবে।

  • ফিলিপাইন

দেশটিতে নববর্ষের আলাদা একটা ফ্যাশন আছে। লোকেরা এই সময় পলকা ডটের পোশাক পরে। পকেটে কয়েন থাকে, নানা রকম দেশীয় খাবারের আয়োজন থাকে।

আরও পড়ুন: Vaccine নিলে আপনি কুমীর হয়ে যেতে পারেন, হাস্যকর দাবি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

  • চিন 

চিনের যেকোনও উৎসবে নানা রঙের ছোঁয়া থাকে। আলো ঝলমলে শহরগুলো বছরের শেষদিনটাতেও বিশেষভাবে সেজে ওঠে। এখানে নানা রীতি রেওয়াজও রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল বাজি পোড়ানো। রাতে ১২টা বাজার আগে শব্দবাজি এবং আতশবাজির উৎসব হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কারণ সেখানকার মানুষের বিশ্বাস উজ্জ্বল আলো এবং শব্দে অন্ধকার মুছে যায়।

আরও একটি নিয়ম আছে এখানে। লাল খামে করে কিছু অর্থ উপহার দেওয়া। বয়সে বড়রা আশীর্বাদ করে ছোটদের এমন উপহার দেন। তবে এইসময় লাল খামেরই ব্যবহার হয় শুধু।

  • রাশিয়া 

রাশিয়ার বর্ষশেষের উৎসবের রীতি একেবারেই ভিন্ন এবং মজাদার। শেষদিনে একটি কাগজে আগামী বছরের ইচ্ছে বা প্রার্থনা লিখে রাখতে হয়। যে ইচ্ছের কথা কেউ জানবেন না। লেখার পরে সেই কাগজ পুড়িয়ে ফেলতে হয়। পোড়া কাগজের সবটুকু শ্যাম্পেনের গ্লাসে ফেলে রাত ১২টা বাজার আগে খেয়ে ফেলতে হবে। এখনও অনেকেই এই রেওয়াজ মেনে চলেন।

  • জাপান 

জাপানের বর্ষশেষের উৎসবের নিজস্ব রীতি রয়েছে। যা বছরের পর বছর একভাবে চলে আসছে। এই রেওয়াজটির নাম ‘অমিসোকা’। নিয়ম অনুসারে এখানকার মানুষ আগের দিন বুদ্ধিস্ট টেম্পলে গিয়ে প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে টেম্পলের ঘণ্টা ১০৮ বার বাজাতে হবে।

গুনে গুনে এই নির্দিষ্টবার ঘণ্টা বাজানোর কারণ এটিই যে, মানুষের ঠিক ১০৮টি আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। এই আকাঙ্ক্ষার কারণেই মানুষের দুঃখ, কষ্ট যাবতীয় কিছু জড়িয়ে। নতুন বছরের আগে ঘণ্টা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নেতিবাচক ভাবনা, চিন্তা দূর করার প্রার্থনাই করেন।

  • থাইল্যান্ড 

থ্যাইল্যান্ড হল ভ্রমণপিপাসুদের পার্টি ডেস্টিনেশন। সারাবছরই মজা করতে, ছুটি কাটাতে এখানে পর্যটকদের ভিড় জমে। তবে বর্ষশেষের রেওয়াজ আরও মজাদার এখানে। ‘সংক্রান’ নামের রেওয়াজ অনুযায়ী এখানকার মানুষ একে অন্যের গায়ে জল ছুঁড়ে মজা করেন।

  • আমেরিকা

দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডরে ৩১ ডিসেম্বর মাঝরাতে কাকতাড়ুয়া পোড়ানো হয়। তাহলেই নাকি পুড়ে যায় পুরনো বছরে খারাপগুলো। কালোগুলো। অনেকে আবার পুরনো বছরের কোনও একটা জিনিসের ছবিও পুড়িয়ে দেন।

  • ইংল্যান্ড

ওয়েলসে প্রত্যের বাড়ির দরজায় দরজায় ঘোরে শিশুরা। হাতে থাকে আপেল। তাতে গেঁথে দেওয়া হয় লবঙ্গ। মনে করা হয়, এই আপেল নতুন বছরে সৌভাগ্য বয়ে আনে।

ইয়র্কশায়ারে বর্ষশেষের রাতে ঠিক ১২টা বাজার আগে এখানকার বাসিন্দারা বলতে থাকেন, ‘‌কালো খরগোশ, কালো খরগোশ, কালো খরগোশ’। ১২টা বাজলেই বলতে হয় ‘‌সাদা খরগোশ, সাদা খরগোশ, সাদা খরগোশ।’‌ তাহলে নাকি দুর্ভাগ্য বিদায় নেয়।

  • স্কটল্যান্ড

স্কটল্যান্ডের লোকজন ৩১ ডিসেম্বর মশাল জ্বালান। বাজিও পোড়ান। পরের দু’‌দিন ধরে চলে এসব। কবে থেকে এই রীতির শুরু, জানা যায়নি। মনে করা হয়, জলদস্যুরা যখন স্কটল্যান্ডে আক্রমণ করে তখন এই রীতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আগুন জ্বালিয়ে দুষ্ট আত্মাকে দূরে রাখতেন স্কটিশরা।

আরও পড়ুন: বাড়ির বারান্দায় ভিজে কাপড় মেললেই এখন থেকে বিপদ! হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest