সীমান্তে নেপালি পুলিশের গুলিতে মৃত এক ভারতীয়,‘মানচিত্র বদলাব না’ গোঁ নেপালের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: নেপালের নয়া মানচিত্র প্রকাশ নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট অশান্ত ভারত-নেপাল সম্পর্ক। তার মধ্যে নয়া ইন্ধন। সীমান্তে গুলির আঘাতে একজন ভারতীয় নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। অভিযোগের তির নেপাল পুলিশের দিকে। বিহারের সিতামারহি জেলার ঘটনা এটি। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মারা যান বছর ২৫-এর বিকাশ কুমার রাই। চাষের কাজ করতে গিয়ে গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন উদয় ঠাকুর ও উমেশ রাম নামের দুই ব্যক্তি। এদের সিতামারথি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিত্সার জন্য। লগন রাই বলে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে নেপাল পুলিশ।

এদিকে কোনও অবস্থাতেই মানচিত্রে বদল ঘটানো হবে না। এক বার ফের সাফ জানিয়ে দিল নেপাল। লিপুলেখ গিরিপথ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানিকে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দেখিয়ে সম্প্রতি নয়া মানচিত্র প্রকাশ করে তারা। তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবে বলে জানিয়ে দিল কাঠমান্ডু।

আরও পড়ুন : #KarachiBlackOut: নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় বিমান? আতঙ্ক ছড়াল পাকভূমে

গত মে মাসে ওই বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল। তা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গয়ালি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে গত ২ নভেম্বর নিজেদের মানচিত্র বদল ঘটায় ভারত। তার পরই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিই। এটা স্থায়ী সিদ্ধান্ত কারণ ওই এলাকাগুলি নেপালের মধ্যেই পড়ে। এ নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। তবে কোন এলাকা নেপালের মধ্যে পড়ছে, তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হওয়া দরকার।’’

সম্প্রতি লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস-মানস সরোবরে যাওয়ার পথ পর্যন্ত একটি রাস্তার উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তাতে প্রতিবাদ জানায় কেপি শর্মা ওলির সরকার। তার পরই ওই বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ করে তারা। তা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় ভারত। এমনকি এর পিছনে চিনের উস্কানি থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয় ভারত। তাতে  দু’দেশের মধ্যে উত্তাপ আরও বাড়ে। এর পর কিছুটা সুর নরম করে বিদেশ সচিব স্তরে আলোচনার প্রস্তাব দেয় নেপাল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত দিল্লির তরফে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি।

ভারতের সঙ্গে ১৮৫০ কিলোমিটারের খোলা সীমান্ত আছে নেপালের। দুই দেশের মানুষরাই সীমান্ত পেরিয়ে একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন। করোনার জেরে মার্চের ২২ তারিখ সীমান্ত সিল করে দেয় নেপাল। গত ১৭ মে ভারতীয়দের সীমান্ত পেরিয়ে নেপালে প্রবেশ আটকাতে আকাশে গুলি চালিয়েছিল ওই দেশের পুলিশ।

নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গয়ালি বলেন, ‘‘বিদেশ সচিব স্তরে আলোচনা চালাতে ভারতকে চিঠি দিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার জবাব পাইনি। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাতে দু’দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’ এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওলি কি নরেন্দ্র নোদীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে দু’জনের মধ্যে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। আমরা তো আগেই বলেছি, নেপাল আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’’

এ নিয়ে দিল্লির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন নেপালের প্রসঙ্গ উঠে এলে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, ‘‘এ নিয়ে আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। নেপালের ঐতিহ্যপূর্ণ সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বকে গভীর ভাবে সম্মান করি আমরা। দু’দেশের বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরে আরও প্রসারিত ও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে। নেপালের মানবিক, উন্নয়নমূলক ও যোগাযোগ স্থাপন প্রকল্পে ভারতের সহায়তা আরও বেড়েছে।’’

আরও পড়ুন : বায়ুসেনার প্রধান হলেন এক কৃষ্ণাঙ্গ, ইতিহাস গড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

Gmail 2
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest