#ইসলামাবাদ: সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় ঘোষণা করেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করল পাকিস্তান। ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, ভারতের রাষ্ট্রপতির ওই নির্দেশ যাতে কার্যকর না হয়, সেজন্য কূটনৈতিক পথে চেষ্টা করা হবে।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ সুবিধাভোগী রাজ্যের মর্যাদা তুলে নিতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি সরকার৷সোমবার উপত্যকা থেকে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারার অবলুপ্তির জন্য এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্র৷ এবং সেই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি৷ এরপরই, পুনর্জন্ম হল জম্ম-কাশ্মীরের৷ বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে তৈরি হল লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের৷ পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত যে পদক্ষেপটা করল, তা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মের পরিপন্থী। একক ভাবে ভারত কাশ্মীরের মর্যাদা বদলাতে পারে না। তাদের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেবে না জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ এবং পাকিস্তান।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটা আন্তর্জাতিক বিতর্ক রয়েছে। পাকিস্তান যে হেতু এই বিতর্কের একটা অংশ, এই প্রক্রিয়া ঠেকাতে যা যা আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন তারা তাই-ই করবে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে পাক সংসদের যৌথ অধিবেশনে আলোচনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হল, “কাশ্মীরের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং নৈতিক বিকাশের জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর চেয়ারম্যান তথা বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফ বলেন, “মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জ-বিরোধী। এটা আসাংবিধানিক। এক প্রকার দেশদ্রোহ। যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” অন্য দিকে, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাবল ভুট্টোও মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারত সরকার কী চাইছে, ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি ঘটিয়ে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।”
অন্যদিকে, ৩৭০ ধারা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকাকে জানাল ভারত। যদিও তাদের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।