আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জো বাইডেনের সঙ্গে এই প্রথম কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সন্ধ্যায় টুইট করে মোদী নিজেই জানালেন তিনি নিজেই। দু’দেশের ‘যৌথ প্রাধান্য’ নিয়ে কথা হয়েছে, সে কথাও টুইটারে উল্লেখ করেছেন মোদী।
প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা হল, তাঁর সাফল্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছি। আঞ্চলিক ইস্যু এবং আমাদের উভয়ের অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও সহমত পোষণ করেছি।”
দ্বিতীয় টুইটে মোদী লিখেছেন, “আমি এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলার বিষয়ে অঙ্গিকারবদ্ধ। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এবং বর্হিবিশ্বে শান্তি-সুস্থিতি বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কৌশলগত পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় আনার সহমত হয়েছি।”
Spoke to @POTUS @JoeBiden and conveyed my best wishes for his success. We discussed regional issues and our shared priorities. We also agreed to further our co-operation against climate change.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 8, 2021
বাইডেন হোয়াইট হাউসের মসনদে বসেছেন প্রায় দু’সপ্তাহ আগে। ৪৬ তম প্রেসিডেন্টকে পর পর টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদী। লিখেছিলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌথ ভাবে কাজ করবে ভারত। দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ককেও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে দুই দেশ’। তবে সরাসরি কথা হল এই প্রথম।
আরও পড়ুন: Myanmar: পিছনে চলছে সামরিক অভ্যুত্থান, অজান্তে নাচে মগ্ন অ্যারোবিকস প্রশিক্ষক, ভাইরাল হল ভিডিও
মসনদে বসেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্টো পথে হাটেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।সেই সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচুর নিয়ম তুলে দেন। প্যারিসের জলবায়ু চুক্তিতে ফের প্রবেশ থেকে শুরু করে বেশ কিছু মুসলিম দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া, অনেক কিছু নয়া সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া বিতর্কিত Keystone XL oil pipeline অনুমতিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগামী দিনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটা সূচনা মাত্র। নির্বাচন প্রচারকালে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সব রক্ষা করা হবে। পরবর্তী পদক্ষেপগুলির মধ্যে মার্কিন সেনায় তৃতীয় লিঙ্গের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, মার্কিন তহবিল সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হতে পারে। শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাইডেন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি আদতে ট্রাম্পের রাস্তায় হাটছেন না।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নমোর সম্পর্ক ছিল সুবিদিত। দুই দেশের কূটনীতিকরা বলে থাকেন, ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে এমন সুসময় কখনও আসেনি। ফলে বাইডেন জমানায় দুই দেশের সম্পর্ক কেমন থাকে, সেদিকে যে গোটা আন্তর্জাতিক মহলের নজর থাকবে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড মিশরে! মমির মুখে সোনার জিভ, মিলল সোনার মাস্কও