যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকুন,লাল ফৌজে বার্তা চীনা প্রেসিডেন্টের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লাদাখে সীমান্ত সঙ্ঘাত একপ্রকার অব্যাহত। তার মধ্যেই দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। বুধবার গুয়াংডং প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন চিনফিং।

চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘জিনহুয়া’ জানাচ্ছে, গুয়াংডং প্রদেশের চাওঝাও শহরে চিনের গণমুক্তি ফৌজের নৌবাহিনীর যে ঘাঁটি রয়েছে সেখানে যান চিনফিং। কোরের সদস্যদের ‘চূড়ান্ত সতর্ক’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাহিনীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘আপনাদের মন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে রাখুন।’’

জিনপিংয়ের এই বার্তা মুহূর্তেই সাড়া ফেলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। আসলে তিনি যে ঘুরিয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সে কথাও স্পষ্ট। কিন্তু কাকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তিনি তা স্পষ্ট করেননি। সম্প্রতি তাইওয়ান প্রণালী (চিন এবং তাইওয়ানের মাঝে প্রণালী)-তে নজরে এসেছে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ। যদিও আমেরিকার তরফে বলা হচ্ছে এটা ‘রুটিন’ সফর।

আরও পড়ুন : মাত্র ৫ বছরে ৫২ শতাংশ সম্পত্তি বেড়েছে মোদির! ভাগ্য খুলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও

কিন্তু ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের পিছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য দেখছে বেজিং। আর তা নিয়েই দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পারদ নতুন করে চড়ছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে। তাঁদের ধারণা, সে কারণেই মেরিন কোরের সদস্যদের যুদ্ধের জন্য ‘প্রস্তুত’ থাকার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।

চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান বলেন, ‘‘তাইওয়ানে সামরিক অভিযান বাতিল করুক আমেরিকা।’’ আমেরিকা এবং তাইওয়ানের মধ্যে সামরিক চুক্তি বাতিলেরও দাবি তুলেছে তারা। তবে ওয়াশিংটনের তরফে পাল্টা বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই মার্কিন বিমান বাহিনীর জাহাজ চলবে এবং বিমান উড়বে।’

তবে ওয়াকিবহালমহল বলছে মার্কিন নির্বাচন পর্যন্ত এমনটা হবে বলেই মনে হয়। ভোট মিতে গেলে আবার সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। এদেশেও যেমন হয়। ভোট সামনে এলেই সীমান্তে উত্তেজনার পারদ যেন কিছুটা বেড়ে যায়। এটা আগেও ছিল। কিন্তু সেনাকে সরাসরি রাজনৈতিক ফ্রেমে বন্ধি করতে চাইতনা শাসক দল। এখন তো শাসক দলের খিলাড়িরা ভারতের সেনাকে মোদীর সেনা বলে দিচ্ছেন বেমালুম।

আশার কথা হল, এখন লোকসভা ভোট নেই। তা না হলে এই করোনাকালেই শাসকদল একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব তৈরী করত। আর টুইটারে তাদের গেরুয়াবাহিনী সেটাকে ট্রেন্ডিং করে রাখত। শাসকদলের মদতপুষ্ট মিডিয়া স্নায়ু যুদ্ধের খবর বিক্রি করতে নেমে পড়ত।

ট্রাম্পের হাবভাব খেয়াল করলে দেখবেন উনিও একটি ‘মোদী’। বেমালুম ভুলভাল বকাকে তিনি গণতান্তিক অধিকার মনে করেন। কিন্তু একদিকে মোদী সৌভাগ্যবান। তার ভক্তরা একইসঙ্গে গো-ভক্তও। তার সঙ্গে আরএসএস আছে। কিন্তু ট্রম্পের তা নেই। ফলে এবার কুরসী ধরে রাখা মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে নেহাতই কঠিন সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন : ২২ দিন ধরে তালাবন্ধ রেখে গণধর্ষণ ১৭ বছরের তরুণীকে! ওড়িশার ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest