ট্রাম্প নাকি বাইডেন? রাত পোহালেই ভোট আমেরিকায়, জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মঙ্গলবার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। গোটা বিশ্ব তাকিয়ে সে দিকেই। বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে কোণঠাসা করতে মরিয়া রিপাবলিকান ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট বাইডেন। ট্রাম্পের করোনা যুদ্ধে লড়াইয়ের সমস্ত নীতিকে নস্যাং করেছে বিডেন ক্যাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চীনা ভাইরাসকেই হাতিয়ার করেছেন। গতবারের মতো এবারের সার্ভেও বলছে পিছিয়ে রয়েছে ট্রাম্প, কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর দাবিতেই অনড় তিনি। অন্যদিকে, অস্পৃশ্যতার মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলি টেনে ট্রাম্পের ভোটব্যাঙ্কের দখল নিতে মরিয়া জো বাইডেন।

আরও পড়ুন:  সুরাটে তৈরি হল সোনায় মোড়া মিষ্টি! দাম শুনলে কপালে উঠবে চোখ

ভারতীয় বংশোদ্ভুত ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ

এই প্রথমবার ভারতীয় বংশোদ্ভুত ভোটাররা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকার নির্বাচনের বড় শক্তি বলা চলে। প্রায় ১৬টি রাজ্যে তাদের সংখ্যা মোট মার্কিন জনসংখ্যার এক শতাংশের বেশি। তবে লক্ষ্যণীয় যে ৮টি রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই সেখানে ১৩ লাখ ভারতীয়র বাস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবারে আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্প সরকারের হয়েই কথা বলেছিলেন। ভারতের প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

মোট ২৪ মিলিয়ন ভোট আমেরিকার 

আমেরিকাতে ২৪ মিলিয়ন ভোটার রয়েছে। ২৮ শে অক্টোবর পর্যন্ত ৭.৫ কোটি ভোট পড়েছে। ২০১৬ সালে, ৫ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের ভোট দিয়েছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতবারের মতো এবারও নীরব ভোটাররাই কিংমেকার হবেন। এখানে ভোট দেওয়ার দুটি বিকল্প, একটি হল মেল বা শুরুর দিকে ভোটদান এবং অন্যটি ভোট দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যাওয়া।

আমেরিকায় কীভাবে নির্বাচন হয়? 

আমেরিকার নির্বাচন প্রক্রিয়া ভারত থেকে আলাদা। এখানে রাষ্ট্রপতি পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। আমেরিকান নাগরিকরা যাঁরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন তাঁদের বেছে নিন। আমেরিকাতে মোট ৫০ টি রাজ্য, যেখান থেকে মোট ৫৩৪ জন ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। একে নির্বাচনী কলেজ বলা হয়। ইলেক্টোরাল কলেজে, দুটি হাউস- একটি সিনেট এবং অন্যটি প্রতিনিধি পরিষদ বা হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভস।

সাধারণত প্রতিনিধি পরিষদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে যায়, তবে এই প্রথমবার সিনেটের ৩৩ শতাংশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রতিটি রাজ্যে ভোটার সংখ্যা পৃথক পৃথক। যে রাজ্যের জনসংখ্যা বেশি সেখানে ভোটারও তুলনায় অনেক। রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য যে কোনও প্রার্থীর 270 ভোট প্রয়োজন।

২০১৬-র ফল

সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৩৪ ভোটের মধ্যে ৩০৬ ভোট পেয়েছিলেন এবং হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছিলেন ২৩২টি ভোট। মোট ভোটের ৪৮.২ শতাংশ পেয়েছিলেন হিলারি এবং ট্রাম্পের প্রাপ্য হয়েছিল ৪৬.১ শতাংশ। সুইং রাজ্যগুলিতে বেশি ভোটের কারণে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সকলের নজর ইহুদি ভোটের দিকে

এবার নির্বাচনের নজর ইহুদিদের ভোটের দিকে। সাধারণত ডেমোক্র্যাট পার্টির ভোটার হিসাবে বিবেচিত ইহুদিরা। আমেরিকার বড় বড় ব্যবসাও তাদের দখলে। এটা আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ধনী লবি। ২০১৬ র নির্বাচনে ইহুদিদের প্রায় ৭১ শতাংশ ভোট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গিয়েছিল। তবে ট্রাম্প, তাঁর পুরো আমলে বিশ্বের একমাত্র ইহুদি দেশ ইজরায়েলের পক্ষে তিনি যে ধরণের নীতি গ্রহণ করেছিলেন তাতে বড় পরিবর্তন এসেছে।

আরও পড়ুন: ‘ক্ষুব্ধ’ শুভেন্দুকে BJP-তে ‘ স্বাগত’ দিলীপ-মুকুলদের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest