প্রয়াত হলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) স্বামী ব্রিটেনের যুবরাজ ফিলিপ (Prince Philip)। বয়স হয়েছিল ৯৯। শুক্রবার রানি ঘোষণা করেছেন ফিলিপের মৃত্যুসংবাদ। তিনি জানিয়েছেন, আজ সকালে ‘ডিউক অফ এডিনবরা’ ফিলিপ উইন্ডসর ক্যাসলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন নবতিপর যুবরাজ। হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও সংক্রমণ নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন হাসপাতালে। তবে একমাস চিকিৎসা চলার পরে ফিরে এসেছিলেন কিছুদিন আগে। সেই সময় সকলের উদ্দেশে হাত নেড়ে গাড়িতে করে হাসপাতাল থেকে ফিরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অবশেষে চলে গেলেন ৯৯ বছরের প্রিন্স ফিলিপ। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ব্রিটেনে। দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের সরকার।
সরকারিভাবে ডিউক অফ এডিনবরা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যিনি স্ত্রী’র ৬৯ বছরের রাজ্যপাটে পাশে ছিলেন। যা ব্রিটেনের ইতিহাসে দীর্ঘতম। সেই সময় কঠোর-দৃঢ় মনোভাবের ব্যক্তি হিসেবে তাঁর পরিচিতি গড়ে উঠেছিল। তবে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন মন্তব্যের জন্যে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। তাঁর শরীরে অবশ্য রাজ পরিবারের রক্ত বিছে। যিনি গ্রিক রাজ পরিরারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে নৌবাহিনীতে ছিলেন। ১৯৪৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে রাজতন্ত্রের নতুন কাঠামো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সঙ্গী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে আদানি গোষ্ঠির ভূমিকা ফাঁস!
It is with deep sorrow that Her Majesty The Queen has announced the death of her beloved husband, His Royal Highness The Prince Philip, Duke of Edinburgh.
His Royal Highness passed away peacefully this morning at Windsor Castle. pic.twitter.com/XOIDQqlFPn
— The Royal Family (@RoyalFamily) April 9, 2021
১৯৯৭ সালে তাঁদের বিয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে রানি জানিয়েছিলেন, এত বছর ধরে যুবরাজ ছিলেন তাঁর শক্তি ও ভরসার আশ্রয়। ২০১৭ সালে জনসমক্ষ থেকে সরে যান ফিলিপ। তারপর থেকে তাঁকে খুব অল্প সময়ই প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে তিনি ও রানি দু’জনেই উইন্ডসর ক্যাসলে আইসোলেশনে থাকছিলেন। পরে জানুয়ারিতে টিকাকরণ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দু’জনকেই টিকা দেওয়া হয়। আগামী জুনেই একশো বছরে পা দেওয়ার কথা ছিল যুবরাজের। কিন্তু সেই মাইল ফলক আর স্পর্শ করা হল না তাঁর। তার আগেই যবনিকা নেমে এল এক সুদীর্ঘ রাজকীয় জীবনের মঞ্চের উপরে।
প্রিন্স ফিলিপের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন-সহ বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা। শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। টুইটারে তিনি বলেন, ‘ডিউক অফ এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের প্রয়াণে ব্রিটেনের মানুষ এনং রাজ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছিল। সামরিক বাহিনীতে উনি এক অসাধারণ জীবন ছিল। যা বহু সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। ওঁনার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’
আরও পড়ুন: OMG! পরকীয়া সন্দেহে বয়ফ্রেন্ডের পুরুষাঙ্গ কেটে ফ্লাশ করে দিল প্রেমিকা