৫০ বছর ধরে ড্রয়ার বন্দি! সামনে আসতেই রেকর্ড দামে বিক্রি হল মহাত্মা গান্ধীর চশমা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সপ্তাহ চারেক আগের কথা। লন্ডনে লকডাউন চলছে। ইস্ট ব্রিস্টল অকশন হাউসের কর্মীদের চোখে পড়ে অফিসের লেটার বক্সে একটা খাম। খুলতেই বেরিয়ে আসে একটা চশমা আর এক টুকরো কাগজ। তাতে লেখা, ‘‘এটি গান্ধীর।’’ সেই গান্ধী-চশমাই  রেকর্ড গড়ল নিলামে। অনুমান করা হয়েছিল ১৫ হাজার পাউন্ডের কাছাকাছি দাম উঠবে। কিন্তু ২ লক্ষ ৬০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হল চশমাটি।

শুক্রবার ইংল্যান্ডের ইস্ট ব্রিস্টল অকশনস হাউসে নিলামে ওঠে গান্ধীর চশমা। সেখানেই প্রায় ২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা দাম ওঠে চশমাটির। এর আগে ইস্ট ব্রিস্টল অকশনসের নিলামে কোনও সামগ্রীর এত দাম ওঠেনি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীন ১৯১০ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে কোনও এক সময় এই চশমাটি ব্যবহার করতেন গান্ধীজি। সেই সময় ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের এক কর্মীকে নিজের চশমাটি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তিনি। সেই কর্মীর মাধ্যমেই চশমাটি ইংল্যান্ডে তাঁর পরিবারের হাতে পৌঁছয়। এখন গান্ধীজির চশমাটির নতুন মালিকও ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। যদিও দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের বাসিন্দা ওই ক্রেতার নাম প্রকাশ করেনি ইস্ট ব্রিস্টল অকশনস হাউস।

আরও পড়ুন: কোমায় আচ্ছন্ন কিম জং উন, উত্তর কোরিয়ার দায়িত্বে তাঁর বোন ইয়ো! বলছে রিপোর্ট

নিলামের দায়িত্বে থাকা অ্যান্ডি স্টো জানিয়েছেন, এই চশমাটি শুধুমাত্র নিলামের রেকর্ড হিসেবেই পরিচিত থাকবে না, এর ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। আমার ৪ সপ্তাহ আগেই চশমাটি হাতে পেয়েছি। এক বয়স্ক ভদ্রলোক আমাদের লেটারবক্সে চশমাটি রেখে গিয়েছিলেন। এই চশমাটি স্বয়ং গান্ধীজি তাঁর আত্মীয়কে দিয়েছিলেন।চশমার প্রাক্তন মালিক তাঁদের খামে করে চশমাটি রেখে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে এক টুকরো কাগজে লিখে রেখেছিলেন, ‘‘এই চশমা গান্ধীর। আমাকে একটা ফোন করবেন।’’ শোনা যায়, কেউ সাহায্য করলে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে তাঁর পুরনো চশমা দিতেন গান্ধীজি। ইনস্টাগ্রামে চশমার ছবি শেয়ার করে ইস্ট ব্রিস্টল অকশন হাউস লিখেছে, ‘‘অসাধারণ জিনিসের অসাধারণ মূল্য!’’

https://www.instagram.com/p/CEKBgSinGtc/

 

সোনার পাত বসানো গোলাকৃতি চশমাটি মাহাত্মা গান্ধীর ভাবমূর্তির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। প্রায় সব ছবি বা মূর্তিতে এই চশমা পরেই দেখা যায় গান্ধীজিকে। উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে প্রথম এই ধরনের চশমার চল শুরু হয়। ইংল্যান্ডে আইন নিয়ে পড়ার সময় থেকেই এই ধরনের চশমা পড়তে শুরু করেন তিনি। তারপর থেকেই গান্ধী চশমা হিসেবে পরিচিত গোলাকৃতি চশমাটি।

চশমার প্রাক্তন মালিক অবশ্য এ জিনিসের মূল্য বুঝতে পারেননি। নিলামের উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু স্টো জানান, লোকটি তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘ও জিনিস যদি কোনও কাজের না হয়, ফেলে দেবেন।’’ স্টো তখন জানতে চেয়েছিলেন, নিলামে যদি ৫ হাজার পাউন্ড ওঠে, তাঁর চলবে কি না। তাতেই বিস্মিত হয়ে যান ভদ্রলোক। বলেছিলেন, ‘‘খুব চলবে।’’ পরে স্টো জানিয়েছিলেন, তাঁদের আশা ১৫ হাজার পাউন্ড উঠবে। স্টো বলেন, ‘‘সেটা শুনে চেয়ার থেকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিলেন উনি।’’ নিলামে আড়াই লক্ষ পাউন্ডেরও বেশি পকেটে ঢোকার পরে লোকটির প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’, ট্রাম্পের ভোট প্রচারের হাতিয়ার ‘হাউডি মোদী’ ভিডিয়ো

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest