#ওয়াশিংটন: কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ব্যাঙ্ককে ভারত-মার্কিন বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে ফের সেকথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলে ট্রাম্প বলেন, “কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বিষয়টি ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের ব্যাপার। তবে তারা যদি মনে করেন এই সমস্যা সমাধানে আমার মধ্যস্থতা প্রয়োজন, অবশ্যই করব।” ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের পরই শুক্রবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। এই মুহূর্তে ব্যাঙ্ককে বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে ইস্ট এশিয়া সামিট চলছে। সেখানে সেখানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রয়েছেন। এ দিন তিনি টুইট করে জানান, কাশ্মীরের ব্যাপারে ভারতের স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকে। মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেওর সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়েছে তাঁর। তখনই তিনি পম্পেওকে জানিয়ে দেন, কাশ্মীর নিয়ে কোনও ভাবেই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় ভারত সায় দেয় না। এ ব্যাপারে যা করার ভারত-পাকিস্তান দু’দেশ মিলেই করবে।
বারবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আচরণকে যে নয়াদিল্লি ভাল ভাবে দেখছে না, বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে জানান তিনি৷ পরে টুইটারে এস জয়শংকর লেখেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বক্তব্য স্পষ্ট ভাবে মাইক পম্পেরও কাছে জানান হয়েছে৷ যদি কাশ্মীর ইস্যুতে কথাবার্তা হতেই হয়, তবে তা ভারত-পাকিস্তান, দু’পক্ষের মধ্যে হবে৷’ ‘ বিদেশমন্ত্রীর এই ট্যুইটই প্রমাণ করে যে, ‘মধ্যস্থতা’র যে বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা উড়িয়ে দিয়েছে ভারত৷
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প দাবি করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর ইস্যুতে তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। পরে তিনি আরও নির্দিষ্ট করে বলেন, গত জুন মাসে জাপানে জি-২০ বৈঠকের এক ফাঁকে মোদী তাঁকে কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার অনুরোধ করেছিলেন। ভারত থেকে অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, মোদী এমন কোনও অনুরোধ করেননি।
ভারত থেকে বার বার বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক হবে দ্বিপাক্ষিক। কোনও তৃতীয় পক্ষকে নাক গলাতে দেওয়া হবে না। বৈঠকের আগে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ট্রাম্প কাশ্মীর নিয়ে যাই বলুন, তাঁর বিদেশ দফতর কিন্তু ভিন্ন সুরে কথা বলেছে। গত বুধবার ইমরানের আমেরিকা সফর নিয়ে সেদেশের বিদেশ দফতর বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকা সব সময় ভারত ও পাকিস্তানকে গঠনমূলক আলোচনা চালানোর জন্য উৎসাহ দেবে। কিন্তু পাকিস্তানকেও পদক্ষেপ করতে হবে যাতে তাদের দেশে জঙ্গিরা ঘাঁটি বানাতে না পারে।