রিহানার প্রশংসা করে একটি টুইট পছন্দ করলেন টুইটার কর্তা জ্যাক ডরসি। কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইটার-ভারত দ্বন্দ্বের মধ্যে এই ‘পছন্দ’ বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন নেট মাধ্যমের পর্যবেক্ষকরা। রিহানাকে আক্রমণ করায় বৃহস্পতিবারই কঙ্গনা রানাউতের টুইট মুছে দিয়েছিল টুইটার। এবার জ্যাকের ‘পছন্দ’-এ স্পষ্ট ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক তারকা রিহানার সমর্থক স্বয়ং টুইটারের কর্তাই।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইটারের সঙ্গে ভারত সরকারের নরমে গরমে দ্বন্দ্ব চলছে সেই সোমবার থেকেই। কৃষক আন্দোলনের পক্ষে সরব আড়াইশোর বেশি টুইটার অ্যাকাউন্ট ও একটি হ্যাশট্যাগ সরিয়ে নেওয়ার জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সেই নির্দেশ মেনে প্রথমে অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করলেও পরে তা আবার চালু করে দেয় টুইটার। কারণ হিসাবে টুইটার জানিয়ে দেয়, তাদের বিবেচনায় এমনটা করলে বাক্ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে। এরপরই টুইটারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের বার্তা দেয় কেন্দ্র। এরই মধ্যে কৃষক আন্দোলন নিয়ে রিহানার প্রশংসামূলক টুইট লাইক করে কি টুইটারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ডরসি?
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দাগলেন রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গ এবং প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খলিফা
Confirming I have in fact regained consciousness, and would like to thank you for your concern, albeit unnecessary. Still standing with the farmers, though ♥️ pic.twitter.com/ttZnYeVLRP
— Mia K. (@miakhalifa) February 4, 2021
মিয়া যে ছবিটি টুইট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের হাতে মিয়া, রিহানা, গ্রেটার ছবি। সঙ্গে প্ল্যাকার্ডে লেখা তাঁদের বিরুদ্ধে ইংরেজি স্লোগান। যদিও সেই স্লোগানের বয়ান বেশ অদ্ভুত। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘মিয়া খালিফার হুঁশ ফিরল’। ‘রিহানার হুঁশ ফিরল’। টুইটারে ছবিটি দিয়ে মিয়া লিখেছেন, ‘আশ্বস্ত হলাম জেনে যে, আমার সত্যিই হুঁশ ফিরেছে। আর তা নিয়ে তোমরা এত ভাবছ বলে ধন্যবাদ। যদিও এই ভাবনা অপ্রয়োজনীয়। আর আমি এখনও কৃষকদের পাশেই আছি’।
মিয়ার এই টুইট নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। সত্যি তো, হঠাৎ আন্তর্জাতিক তারকাদের ‘হুঁশ ফেরা’ নিয়ে ভারতীয় বিক্ষোভকারীদের মাথাব্যাথা কেন?
রহস্য উদ্ধার করলেন নেটাগরিকরাই। জানা গেল দোষটা আসলে গুগলের। তর্জমার জন্য গুগলের একটি অ্যাপ গুগল ট্রান্সলেট বেশ জনপ্রিয়। সেখানেই হিন্দি স্লোগানের তর্জমা করতে গিয়ে গোলমাল বেঁধেছে। আসলে ‘মিয়া খলিফা হোঁশ মে আও’ লিখতে চেয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়়ায়, ‘মিয়া খলিফা নিজের সজ্ঞানে ফেরো’। সোজা কথায়, ভারতের ব্যাপারে তাঁদের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করাই ছিল বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য। কিন্তু, গুগল ট্রান্সলেটে সেই বক্তব্যের ইংরেজি তর্জমা করতে গেলে দেখা যাচ্ছে গুগল লিখছে ‘মিয়া খালিফা রিগেনস কনসাসনেস’। আর তা থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।