হাতে আর একেবারেই সময় নেই।আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানোর আহ্বান জানিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি-সহ আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল করলেন হাজার হাজার মার্কিন মহিলা। পাশাপাশি ওই মিছিল থেকে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে সদ্য মনোনীত হওয়া প্রধান বিচারপতি এমি কোনি ব্যারেট (Amy Coney Barrett) -কে অপসারণেরও দাবি তোলা হয়।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও ট্রাম্প প্রশাসনের অপসারণের দাবিতে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন অসংখ্য মহিলা। তারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল শনিবার আমেরিকার বিভিন্ন শহরের রাস্তায়। ওয়াশিংটন ডিসি (Washington, D.C)’র ন্যাশনাল মল থেকে ফ্রিডম প্লাজা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা
আরও পড়ুন : প্রতীক্ষার অবসান! শহরের রং সবুজ-মেরুন, মোহনবাগানের হাতে উঠল আই লিগ
স্লোগান তোলেন ট্রাম্পের মনোনীত করা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমি কোনি ব্যারেটকে অপসারণেরও। তাঁদের হাতে থাকে পোস্টার ও ব্যানারে লেখা ছিল, ‘হেল নো, এমি মাস্ট গো।’ কোনটাতে আবার ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে লেখা ছিল, ‘আপনি আমাদের নোংরা বলছেন কারণ, একজন শক্তিশালী মহিলা কী করতে পারে তা ভেবেই আপনি আতঙ্কিত হচ্ছেন।’
শনিবারের এই বিক্ষোভ সম্পর্কে আয়োজকরা জানা, ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পরেই মার্কিন মহিলাদের একাংশ আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলেন। সেই স্মৃতি থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই শনিবারের কর্মসূচি পালন করা হয়। দেশের প্রায় ৫০টি রাজ্যেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে এই মিছিলের অন্যতম আয়োজক সোঞ্জা স্পু বলেন, ‘প্রকৃত সত্যি হল আমরা হলাম শক্তিশালী। আর ওরা হল ভীতু। বর্তমানে জেনেশুনেই ওরা একটি দড়ি উপর দিয়ে হাঁটছে। সেখান থেকে যেকোন মুহূর্তে আমরা ওদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে পারি। এটা তখনই সম্ভব হবে যদি আমরা সমস্ত মহিলারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।’
অনেকে বলছেন মোদির ‘ডোলান্ড ট্রাম্পের’ অবস্থা খুবই খারাপ। উনি হয়ত মনে মনে ভাবছেন দেশটা ভারত হলে কি সুবিধাটাই না হত। কেবল মন্দিরের কথা বলে বহু মানুষকে পাশে রাখা যেত। জনগণ কাজের হিসাব চাইতো না। মানুষের কাজ না থাকুক, কেবল জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে বহু মানুষের মন জয় করা যেত। আরএসএস নাম একটি ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন রাজনীতির সব কাজটা সামলে দিত। প্রেস কনফারেন্স করতে হত না। কেবল ‘মন কি বাত’ শোনালেই কাজ মিটে যেত। কেবল ইঙ্গিত দিলেই চলত যে ‘আমি হিন্দুদের নেতা।’ হিন্দুরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। সুতরাং গণতন্ত্রের খাতিরে গরিষ্ঠের কথা ভাবাই তো ভালো পাটিগণিত করতে পারা নেতার গুন।ট্রাম্প বাবু ,এখন ওসব ভেবে লাভ নেই। মনে রাখবেন মোদির দেশে মোদির আগে পূজিত হন গরু। মোদী নিজেও সেই গরুর ভজনা করেন ।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের স্লোগান দিয়ে আপনিও শুরুটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু দেশটা আমেরিকা। ভারত নয়। বিদ্বেষের কথা বলে ভারতে ভোট বাড়ে। মার্কিনমুলুকে তা বেশিদিন চলে না। অগত্যা। কুরসী ছাড়ার প্ল্যান করুন। আর পুতিনও আপনাকে বাঁচাবে না।
আরও পড়ুন : কান্না ভেজা চোখে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাকিস্তানের বিখ্যাত পেসার উমর গুল