দু-নৌকায় পা! কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের প্রশংসা করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও সমর্থন হোয়াইট হাউসের

আন্দোলনে সমর্থন জানালেও আবার কৃষি আইনে সংস্কার নিয়েও প্রশংসাই করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের তরফে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষক আন্দোলন নিয়ে দ্বিধায় পড়েছে মার্কিন প্রশাসন, সে কথা স্পষ্টভাবেই প্রকাশ পেল বুধবার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রের কথায়। একদিকে, বেসরকারিকরণের ফলে কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে জানিয়ে মোদী সরকারের প্রশংসা করে মার্কিন প্রশাসন। একইসঙ্গে আবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন উন্নত গণতন্ত্রের প্রতীক বলেও জানানো হয় বাইডেন সরকারের তরফে।

মার্কিন পপ গায়িকা রিহানা থেকে শুরু করে পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হওয়ার পরই শোরগোল পরে যায় বিশ্বজুড়ে। জবাবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন জগতের তারকারা টুইট করে কৃষক আন্দোলনকে দেশের “অভ্যন্তরীণ বিষয়” বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে বিদেশী অপপ্রচার ভারতের একতাকে ভাঙতে পারবে না বলেও জানানো হয়।

বুধবার আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্বীকৃত। এমনকী যে কোনও বিষয়ে মতপার্থক্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে আজ একটি টুইটবার্তায় বলা হয়েছে,’শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে আমরা সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের পরিচয় বলে মনে করি ৷ ভারতের সুপ্রিম কোর্টও তা বলেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতপার্থক্যকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানকেও আমরা উৎসাহিত করি৷’

আরও পড়ুন: অবশেষে মিলল জয়, হিজাব পরার অনুমতি পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সেনারা

দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষক আন্দোলনে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, “ইন্টারনেট সংযোগ সহ বিনা বাধায় তথ্য আহরণের অধিকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অংশ ও উন্নত গণতন্ত্রের চিহ্নপ্রমাণ।”

একইসঙ্গে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন উন্নত গণতন্ত্রের পরিচয়। তবে ভারত সরকার কৃষি আইন নিয়ে যে পদক্ষেপ করেছে, তাতে আখেরে দেশের বাজারই উপকৃত হবে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তাও তৈরি হবে ভারতে। এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে জো বাইডেন প্রশাসন সরাসরি স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছে ভারত সরকার কৃষিক্ষেত্রে যে সংস্কার এনেছে, তা কৃষকদের স্বার্থেই। এবং এই সংস্কারে কৃষকরা লাভবানই হবেন বলে দাবি আমেরিকার।

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মোদী সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে ভারত-চিন সম্পর্ক থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি গদি বদল হওয়ার পর এই প্রথম বাইডেন প্রশাসনের তরফে ভারতের কোনও বিষয়ে মন্তব্য করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলে এই বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন কূটনৈতিকরা।

আরও পড়ুন: চক্রান্তের অভিযোগে মামলা দায়ের দিল্লি পুলিশের, থুনবার্গের ফের টুইট, ‘কৃষকদের পাশেই আছি’

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest