ইমপিচমেন্টের দাবি জোরালো হতেই ‘শান্তি’ চাইলেন ট্রাম্প, ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা টানলেন বাইডেন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ক্যাপিটলে তাঁর সমর্থকরা তাণ্ডব চালানোর পর থেকে গোটা বিশ্ব কাঠগড়ায় তুলেছে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সেই ক্ষতে এ বার প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন খোদ ট্রাম্প। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলে এক ভিডিয়ো বার্তাতে শান্তির বার্তা দিলেন তিনি। ‘আরোগ্য এবং পুনর্মিলনের’ জন্য সকলের কাছে আবেদনও করেছেন ট্রাম্প।

৩ মিনিটের একটু কম সময়ের ভিডিয়ো বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, “আমার এখন লক্ষ্য মসৃণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রশাসন কাজ শুরু করবে। তার আগে আমি সব বুঝিয়ে দিতে চাই।” ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ক্যাপিটলের তাণ্ডব নিয়ে চাপ বাড়ছিল ট্রাম্পের উপর। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁকে ইমপিচমেন্টের দাবিও তোলা হচ্ছে। এই আবহেই অবশেষে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প।

https://twitter.com/realDonaldTrump/status/1347334804052844550?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1347334804052844550%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Ftv9bangla.com%2Fworld%2Felected-president-joe-biden-criticize-trump-by-comparing-yesterdays-capitol-attack-to-black-live-matters-protest-307141.html

ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেছেন, “হিংসা, আইনঅমান্য এবং  দাঙ্গা দেখে আমি ক্ষিপ্ত। যাঁরা হিংসার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করেন না। আমেরিকা আইন মেনে চলে।” ক্যাপিটল বিল্ডিংকে সুরক্ষিত রাখতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় নিযুক্ত আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল শেরউইন ইতিমধ্যেই ক্যাপিটল হামলার ঘটনা নিয়ে ১৫টি মামলা দায়ের করেছেন উন্মত্ত ট্রাম্প সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, “হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যত সংখ্যক মামলা করা যায় আমরা করব।’’ এই হামলার ঘটনার পর ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই অনেক রিপাবলিকানও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের কথা তুলেছিলেন। প্রেসিডেন্ট সময়কালের শেষ মুহূর্তে এসে বরখাস্ত হওয়ার আশঙ্কায় চাপে ছিলেন ট্রাম্পও। তার পরই এই হামলা নিয়ে মুখ খুললেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে থাকছেন না বরিস, ভারত সফর বাতিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

অন্যদিকে গতকাল যৌথ অধিবেশনে কংগ্রেস আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেন (Joe Biden)-কে স্বীকৃতি দিতেই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে গত বছরের “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার” (Black Lives Matter) আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন। টুইটে তিনি বলেন, “একথা কেউ আমায় বলতে পারবে না যে, গতকাল যদি ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের একদল আন্দোলনকারীরা ক্যাপিটলে হামলা চালাত, তবে তাঁদের সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হত। আমরা সবাই জানি এটাই সত্যি এবং অনস্বীকার্যও।”

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)-ও একইভাবে তুলনা টেনে বলেন, “আমরা দুইধরনের বিচার ব্যবস্থার সাক্ষী রইলাম। এক, যারা চরমপন্থীদের ক্যাপিটলে তাণ্ডব চালাতে দিল এবং অন্যটি হল, যাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিল। এটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

ক্যাপিটলের ঘটনার পরই ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টের উপর ২৪ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আজ তা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য করা হল।তবে টুইটারে ফের সচল হয়েছে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট। তবে টুইটার কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এইধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে চিরতরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: মা হলেই মিলবে ৭০ লাখ টাকা! যাবেন নাকি এই শহরে

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest