ওয়াশিংটন: চিনের আগ্রাসন নীতি নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। যেভাবে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে ভারতের (India) উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে তার তীব্র নিন্দা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States)।
মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বলেন, ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করছে চিন। সেই সঙ্গে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, চিনের এই নীতির জন্য শুধু তাদের দেশের মানুষের ক্ষতি হবে না। এর ফল ভুগবে গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুন: কৃ্ষ্ণাঙ্গ হত্যার জের:হোয়াইট হাউসে বিক্ষোভ, ভয়ে–আতঙ্কে মাটির নীচে আত্মগোপন ট্রাম্পের
সোমবার মার্কিন প্রতিনিধি তথা সেদেশের বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির প্রধান ইলিয়ট এঙ্গেল বলেছেন যে, লাদাখের (Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ধরে যেভাবে ভারতের বিরুদ্ধে চিন আগ্রাসন নীতি নিয়েছে তাতে আমেরিকা “অত্যন্ত উদ্বিগ্ন”।
পম্পেও বলেন, মুখে এক রকম কথা বলছে চিন, কিন্তু কাজে সেই কথার সঙ্গে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগর, হংকং বা ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের যে অত্যধিক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা তাদের আগ্রাসী নীতিরই একটা দৃষ্টান্ত। চিনের এই নীতির কারণে যদি আমেরিকার স্বার্থে আঘাত লাগে, তা হলে তাঁরাও যে চুপ থাকবেন না, স্পষ্ট জানিয়েছেন পম্পেও।
“ভারত-চীন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের রেখার উপর চলমান চিনা আগ্রাসনে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চিন আবারও এটা দেখাচ্ছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিরোধ নিষ্পত্তি করার পরিবর্তে প্রতিবেশীদের ঝামেলায় ফেলতেই বেশি আগ্রহী”, বলেন মার্কিন বিদেশ প্রতিনিধি ইলিয়ট এঙ্গেল।
গত দু’সপ্তাহ ধরে লাদাখ ও উত্তর সিকিমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে দু’দেশের সেনারা। ওপারে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে চিন। মে-র গোড়া থেকেই উপত্যকার ওল্ডি রোডে সেনা সমাবেশ করছে চিন। মাস খানেকের মধ্যে দারবুক, শায়ক ও দৌলতবেগেও চিনা সেনার সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। ভারতীয় চৌকি ‘কেএম-১২০’-র আশপাশেও পিপলস লিবারেশন আর্মির উপস্থিতি ধরা পড়েছে। পাল্টা সৈন্য সমাবেশ করেছে ভারতও।
"I strongly urge China to respect norms and use diplomacy and existing mechanisms to resolve its border questions with India."
— House Foreign Affairs Committee (@HouseForeign) June 1, 2020
-Chairman @RepEliotEngel https://t.co/say45WUhBt
চিনের সঙ্গে সীমান্তে শান্তি এবং সুস্থিতি বজায় রাখতে তারাও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চিন, দু’দেশের পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য’ বলে জানায় চিনা বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রে আরও বলা হয়, এই সমস্যা আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে সমাধানের জন্য দু’দেশই নিজেদের মধ্যে ‘নিরন্তর’ যোগাযোগ রেখে চলেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের ভূ-খণ্ড নিয়ে সংসদে নয়া মানচিত্র বিল পেশ নেপালের, কলকাঠি কী চিনের?