বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরিকে ‘ফেরত পাঠানো হবে’, আশ্বাস আমেরিকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরিকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে পারে আমেরিকা। শুক্রবার ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমনটাই আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার।

শুক্রবার, সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ফোন করেন এসপার। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা আলোচনায় রাশেদ চৌধুরির প্রত্যর্পণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার।

আরও পড়ুন : একুশের আগে বাংলা সফর, চলতি মাসেই রাজ্যে আসছেন মোহন ভাগবত

ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব একমত হন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার রাশেদ চৌধুরি মুজিব হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। বিএনপি বা খালেদা জিয়ার আমলে রীতিমতো সরকারি ‘অতিথি’ হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর গদি দখল করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। তারপরই জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি। সেই সময় ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন রাশেদ চৌধুরি। তাঁকেও দেশে ফিরে অসরা নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতির জটিলতা আঁচ করতে পেরে আমেরিকায় পালিয়ে যান রাশেদ। সেখানে প্রায় ১০ বছর কাটানোর পর তাঁকে শরণার্থীর মর্যাদা দেয় এক মার্কিন আদালত।

এবার পরিস্থিতি পালটেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টায় রাশেদকে ঢাকার হতে তুলে দিয়ে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে আর বেশি দিন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী আইনের হাত থেকে পালাতে পারবেন না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন : চেক-আপের জন্য আমেরিকা গেলেন সনিয়া, সংসদের অধিবেশনে থাকছেন না মা-ছেলে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest