অবশেষে ভারতীয় সময় শনিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল। জানা গেল, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। নিয়মতো ভোটে জিততে গেলে প্রয়োজন ছিল ইলেকটোরাল কলেজের ২৭০ টি ভোট। পেনসিলভানিয়া প্রদেশে জয়ের পর বাইডেন পান ২৭৩ টি। আগামী জানুয়ারি মাসে তিনি শপথ নেবেন।
জয় আসবেই ধরে নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাঁতে দাঁত কামড়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। একের পর এক রাজ্যে ধাক্কা খেলেও, ভোট পুনর্গণনার দাবিতে অনড় ছিলেন। কিন্তু পেনসিলভেনিয়ার দৌলতে শেষ মুহূর্তে তাঁর মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিলেন জো বাইডেন। তাই দ্বিতীয় বার আর হোয়াইট হাউসের দখল নেওয়া হল না ট্রাম্পের। ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর জায়গায় বাইডেনকেই বেছে নিলেন আমেরিকার সাধারণ মানুষ।
২৫৩ ইলেক্টরাল ভোট নিয়ে শনিবারও শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের সপক্ষে ভোট ছিল ২১৪। জর্জিয়ায় ভোট পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আশায় বুক বাঁধতে শুরু করে ট্রাম্প শিবির। ডেমোক্র্যাটদের গড় হিসেবে পরিচিত পেনসিলভেনিয়ার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন বাইডেন ও তাঁর সমর্থকরা। তাঁরা জানতেন, সেখানে ২০টি ইলেক্টরাল ভোট জিতে নিতে ট্রাম্পের আর কিছু করার থাকবে না। শেষ মেষ তাই হল। পেনসিলভেনিয়াই বাইডেনকে জয় এনে দিল।
একই সঙ্গে এ দিন আমেরিকায় ইতিহাস গড়লেন ভারতীয বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। সে দেশের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। এর আগে যদিও ডেমোক্র্যাটদের হয়ে বাইডেনের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দিতায় নেমেছিলেন কমলা। তবে পরবর্তী কালে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁকেই বেছে নেন বাইডেন।
এ দিন জয় হাসিল করার পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বাইডেন বলেন, ‘কমলা হ্যারিস এবং আমার উপর সাধারণ মানুষ যে আস্থা রেখেছেন, তাতে সম্মানিত বোধ করছি। নানা বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও রেকর্ড সংখ্যাক মানুষ ভোট দিয়েছেন। এতেই প্রমাণ হয় আমেরিকার হৃদয়ের গভীরে গণতন্ত্রই স্পন্দিত হয়। নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্ত রাগ-অভিমান পিছনে ফেলে একজোট হওয়ার সময় এসেছে। আমেরিকাকে একজোট হতে হবে, ক্ষত সারিয়ে উঠতে হবে। আমরা আমেরিকার মানুষ। আমাদের অসাধ্য কোনও কাজ নেই’।
আরও পড়ুন: আগামী বছর অবসর নিচ্ছেন পুতিন? নতুন বছরে নয়া প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে রাশিয়া!
America, I’m honored that you have chosen me to lead our great country.
The work ahead of us will be hard, but I promise you this: I will be a President for all Americans — whether you voted for me or not.
I will keep the faith that you have placed in me. pic.twitter.com/moA9qhmjn8
— Joe Biden (@JoeBiden) November 7, 2020
জয় নিশ্চিত করে টুইটারে কমলা হ্যারিস লেখেন, ‘জো বাইডেন বা আমি নই, এ বারের নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি। এর সঙ্গে আমেরিকার আত্মা জড়িয়ে রয়েছে। জড়িয়ে রয়েছে একসঙ্গে লড়াই করার অদম্য জেদ। সামেন অনেক কাজ। চলুন পথ চলা শুরু করি’।
This election is about so much more than @JoeBiden or me. It’s about the soul of America and our willingness to fight for it. We have a lot of work ahead of us. Let’s get started.pic.twitter.com/Bb9JZpggLN
— Kamala Harris (@KamalaHarris) November 7, 2020
আরও পড়ুন: পরাজয় না মানলে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে বার করে দেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি বাইডেনদের