কোটলা: ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ বলে যেমন একটা কথা আছে, তেমনই ‘হোম ডিজঅ্যাডভান্টেজ’ বলেও একটা কথা রয়েছে। অর্থাৎ ঘরের মাঠে অসুবিধা। দিল্লিকে সেই ব্যাপারটাই যেন তাড়া করল আজ । টানা তিন ম্যাচ বাইরের মাঠে জিতে এসে ঘরে ফিরতেই ফের মুখ থুবড়ে পড়ল সৌরভ-পন্টিংয়ের দল।
দিল্লির স্লথ পিচে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন রোহিত এবং ডে কক। অনায়াসে দলের স্কোরকে পঞ্চাশ পার করিয়ে দেন। কিন্তু তার পরেই শুরু হয় ছন্দপতন। ম্যাচে ফিরতে শুরু করেন দিল্লির বোলাররা। একে একে প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানরা। সেই সঙ্গে ক্রমশ কমতে থাকে রানের গতিও।দিল্লির পিচে আগের মতো, এ দিনও দাপট ছিল স্পিনারদের। অক্ষর পটেল এবং অমিত মিশ্র নিজেদের মধ্যে আট ওভার হাত ঘুরিয়ে রান দিয়েছেন মাত্র ৩৫, আর তাতেই ব্রেক লেগে গিয়েছিল মুম্বইয়ের ব্যাটিং-এ। ১৫ ওভার যখন পেরোচ্ছে, তখন তাদের রানরেট সাতের কম ছিল। কিন্তু হিসেব সব ওলটপালট করে দিলেন পাণ্ড্য ভাইরা। জুটিতে লুঠলেন দু’জনে। শেষ তিন ওভারে এল ৫০। মুম্বই পৌঁছে গেল ১৭০-এর কাছাকাছি।
মুম্বইকে ম্যাচ উপহার দিল দিল্লি! সহজ করে বললে এটাই ম্যাচের সারাংশ! ১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির হতশ্রী ব্যাটিংকার্ড দেখে এর চেয়ে সহজ করে কিছু বলা যায় না৷ শুরুতে শিখর- পৃথ্বীর মারকাটারি ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ৷ এরপরও রান তাড়া করতে নেমে দিল্লি ম্যাচ হারল ৪০ রানে৷ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানে ইনিংস শেষ শ্রেয়সদের৷ দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচ জিতে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স৷
রাহুল-বুমরাহের দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করেই কোটলায় দিল্লি বধ করে পয়েন্ট টেবিলে দু’নম্বরে উঠে এল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স৷ ৯ ম্যাচে রোহিতদের সংগ্রহ এখন ১২ পয়েন্ট৷ ৯ ম্যাচে ৭টিতে জিতে ১৪ পয়েন্টে শীর্ষে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস৷