Site icon The News Nest

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগে’ ইসরায়েল

ebarhim scaled

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। গত শুক্রবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপরেই বিজয়ী হিসেবে রাইসির নাম ঘোষণা করা হয়। এদিকে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসরায়েল বলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিষয়ে সতর্ক থাকা।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত এক বিবৃতিতে বলেন, এখন পর্যন্ত ইরানের সবচেয়ে চরমপন্থী প্রেসিডেন্ট হলেন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি আরও সতর্ক করে বলেছেন যে, রাইসি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আরও বাড়াবেন।

আরও পড়ুন : দুইয়ের বেশি সন্তান হলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা মিলবে না! ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

আগামী আগস্টে শপথ নেবেন ইব্রাহিম রাইসি। কট্টরপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসিকে শনিবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে রাইসিকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ৬০ বছর বয়সী রাইসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে ২০১৯ সালে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রাইসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তবে ১৯৮০-এর দশকে রাজনৈতিক বন্দীদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকার কর্মী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসির অধীনে কট্টরপন্থীরা ইসলামি অনুশাসন মেনে সরকার পরিচালনার ব্যাপারে আরও কঠোর হবেন যার অর্থ সামাজিক কার্যক্রমের ওপর আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ, নারীদের কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতা কমে যাওয়া এবং সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমের ওপর আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।

এদিকে, জয় নিশ্চিতের পর এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাইসি। নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি পুরো দেশের জনগণের নেতা হতে চান।

আরও পড়ুন : Corona Virus: ৮১ দিন পর দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের কম, নিম্নমুখী মৃত্যুও

Exit mobile version