ওয়েব ডেস্ক: ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক সংকটে চাপে পড়ে দিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ওই ব্যাঙ্কে জগন্নাথ দেবের নামে জমা রয়েছে ৫৪৫ কোটি টাকার আমানত। Yes Bank থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে আরবিআই। তার জেরে এখন মাথায় হাত মন্দির কর্তৃপক্ষের।
ইয়েস ব্যাঙ্ক নিয়ে অনেকদিন ধরেই সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার সব জানাজানি হয়ে যায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এদিন ইয়েস ব্যাঙ্কের বোর্ডকে অগ্রাহ্য করে নির্দেশ দেয়, আমানতকারীরা ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। তবে কারও বিবাহ, চিকিৎসা বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বেশি টাকা তুলতে অনুমতি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে আরবিআই নির্দেশ দেয়, ইয়েস ব্যাঙ্ক কাউকে নতুন করে ঋণ বা অগ্রিম অর্থ দিতে পারবে না। নতুন করে বিনিয়োগও করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: আপনি কি YES Bank গ্রাহক? জেনে রাখুন জরুরি এই তথ্যগুলি
এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, পুরীর মন্দিরের কোষাগারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে রয়েছে ইয়েস ব্যাংকে। সরকারি বিধি মেনে মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই অর্থ এখন তুলতে পারবেন না। আটকে থাকা এই অর্থের পরিমাণ ৫৪৫ কোটি টাকা। স্বয়ং জগন্নাথদেবের নামেই এই টাকাটা জমা করা হয়েছে। এই টাকার মালিক স্বয়ং তিনি।
এই অবস্থায় পুরীর মন্দিরের প্রবীণ দৈতাপতি বিনায়ক দাস মহাপাত্র জানিয়েছেন, “এর জেরে ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। আমরাও খুব উদ্বেগে রয়েছি। একইসঙ্গে আমরা পুলিশের কাছে বিস্তারিত তদন্তের আরজি জানিয়েছি। এটা জানা দরকার সামান্য বেশি সুদের লোভে কারা কেন ইয়েস ব্যাংকের মতো এক অনামী বেসরকারি ব্যাংকে জগন্নাথদেবের এতটা বিপুল টাকা গচ্ছিত রাখল? এর পিছনে অন্য স্বার্থ নেই তো? স্বয়ং ভগবানের নামে এতটা টাকা শুধুমাত্র অখ্যাত বেসরকারি ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা পুরোপুরি অবৈধ। পুরীর মন্দির প্রশাসন এবং মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটি এর জন্য পুরোপুরি দায়ী।’’
আরও পড়ুন: হাঁড়ির হাল! এবার Yes Bank গ্রাহকদের টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্র
ওডিশার আইনমন্ত্রী প্রতাপ জেনা আশ্বস্ত করে বলেছেন,”টাকা মেয়াদি আমানতে জমা রাখা হয়েছিল। সেভিংস অ্যাকাউন্টে নেই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ওই ফিক্সড ডিপোজিট সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”