করোনা-আমফানের হানায় বারোটা বাজল শুভ জামাই ষষ্ঠীর,দেখে নিন ‘ফানি’ শুভেচ্ছা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: লকডাউন পরিস্থিতিতে জামাই ষষ্ঠী। বাজারে ভিড় কম। ইলিশ থেকে চিংড়ি, ভেটকি থেকে পমফ্রেট – সবই রয়েছে। সাজানো রয়েছে নানারকম ফল। বিক্রেতারা ক্রেতার অপেক্ষায় থাকলেও, ক্রেতার সংখ্যা হাতে গোনা। মাছ থেকে শুরু করে ফল, সবকিছুর দামই সামান্য চড়া। 

বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বনের অন্যতম জামাই ষষ্ঠী। জামাই ষষ্ঠী আছে বৌমা ষষ্ঠী হবে না কেন? এইসব বিতর্ক দূরে রেখেও বছরের একটা দিন তুলে রাখা হয়েছে শুধুই জামাই বাবাজীবনদের জন্য। কিন্তু এবছর করোনা আর আমফানের জোড়া ফলায় ক্ষতবিক্ষত বাঙালির এই সাধের উৎসব।

আরও পড়ুন: আমফানের ‘ছোটভাই’ ! ৯৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইল কলকাতার ওপর দিয়ে

জামাই ঘষ্ঠী মানেই বাড়িতে পঞ্চ ব্যাঞ্জন রান্না কিংবা আজকালকার দিনে রেঁস্তোরাতে নিয়ে গিয়ে জামাইদের এলাহি ট্রিট দিয়ে থাকেন শাশুরিরা। তবে এবছর লকডাউনে সবটাই ভেস্তে গিয়েছে। 

শাস্ত্র মতে কিন্তু জৈষ্ঠ্য মাসের এই ষষ্ঠীর সঙ্গে জমাইদের কোন যোগ নেই। বলা যেতে পারে এটা অনেকাংশেই জামাইদের হাইজ্যাক করা অনুষ্ঠান। মা ষষ্ঠী হলেন সন্তানাদির দেবী। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠীতে তাঁকে সন্তুষ্ট করতে হয় যাতে তিনি মেয়েদের সন্তানবতী হওয়ার আর্শীবাদ দেন। কিন্তু কালের নিয়মে এটাই হয়ে গেছে জামাই ষষ্ঠী।

এবছর হয়ত লকডাউনে বেশিরভাগ জামাই শ্বশুরবাড়ি যেতে পারছেন না,শাশুড়ির স্নেহের পরশ থেকে বঞ্চিত। জামাইদের তাই আজকের দিনে না হয় মুঠোফোনেই চলুক শুভেচ্ছা বিনিময়। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ব্যক্তিগত মেসেনজারে জামাই ষষ্ঠীর শুভেচ্ছা জানান জামাই বাবাজীবনকে।

লকডাউনের কারণে বহু জামাই এবার ষষ্ঠী করতে বের হননি। ফোনেই কাজ সেরেছেন। কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া না হওয়ায় তাদের মন যে খুবই খারপ সে কথা না বললেও চলে। এই একটি দিন জামাইরা নিজেদের বেশ একটা রাজা রাজা ভাবেন। সে ল্যালা-খ্যাপা, বদমেজাজি যেকোনো জামাই হোক, সস্থির ব্যাপারে তার বেশ গদগদ ভাব।

এত সব প্রতিবন্ধকতার পর জামাই বাবাজির হাত গুটিয়ে অবশ্য বসে নেই। শাশুড়ির হাত পাকার বাতাস এবং সেই সঙ্গে পঞ্চব্যাঞ্জন শ আহার করতে দূর্গা দূর্গা করে বেরিয়ে পড়েছেন। এবার সোশ্যাল সাইটেও আবার জামাই ষষ্ঠীর শুভেচ্ছা ঘুরছে। অনেকেই সেসব দেখেই দিন কাবার করছেন। আর দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন।

মন খারাপ তো কি হয়েছে ,ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ব্যক্তিগত মেসেনজারে জামাই ষষ্ঠীর শুভেচ্ছা জানান জামাই বাবাজীবনকে-

১.আজকে শুভ জামাই ষষ্ঠী, আসে বছরে একবার। তাই আমি যাব শ্বশুর বাড়ি,শাশুড়ির জামাই আদর থেকে আবার। শুভ জামাই ষষ্ঠী।

২. জোষ্ঠী মাসের স্পেশ্যাল ঘষ্ঠী। জম্পেশ হোক জামাই ঘষ্ঠী। শুভ জামাই দিবস!

৩.জামাই ষষ্ঠী ভারি মজা,খাবো যে ভাই খাস্তা গজা। ইলিশ মাছ আর পটল ভাজা,জমবে আসর খুবই খাসা। শুভ জমাই ষষ্ঠীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা।

৪.আসবে জামাই আজ বাড়িতে, হইচই তাই সবাই করে, করবে খাতির সবাই মিলে,আসলো জামাই বছর পরে। শুভ জামাই ঘষ্ঠীর শুভেচ্ছা।

৫.জামাই মেয়ে এল বলে ওই, শাঁখের ধ্বনি বাজলো দেখো, পাড়া পড়শি সব আসলো ছুটে, সবাই বলে-নতুন জমাই দেখো। শুভ জামাই দিবস!

আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা বাড়লে দায় কে নেবে?’ পরিযায়ী ইস্যুতে কেন্দ্র, রেলের বিরুদ্ধে তোপ মমতার

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest