কংগ্রেসের সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্ক শেষ, ১২ মার্চ বিজেপিতে যোগ দেবেন জ্যোতিরাদিত্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: ১২ মার্চ অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার টিকিট পেতে পারেন সিন্ধিয়া।খবর সূত্রের। এদিকে, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ বললেন, মধ্যবর্তীকালীন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে৷ ভোট হলে আবার ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেসই৷

এদিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগকে স্বাগত জানালেন তাঁর পিসি, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক যশোধরা রাজে। জাতীয় স্বার্থে জ্যোতিরাদিত্যর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে যশোধরা বলেন, ‘রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া জনসংঘ ও বিজেপি প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়া সম্পর্কে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মনে প্রচুর শ্রদ্ধা আছে। একসময়ে মাধবরাও সিন্ধিয়া জনসংঘের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তাই জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দিলে তা ঘর ওয়াপসি হবে। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তাতে রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া সম্পর্কে তাঁদের শ্রদ্ধাই প্রকাশ পায়।’

আরও পড়ুন: অমিতের সঙ্গে মোদীর বাসায় জ্যোতিরাদিত্য, আজই দলবদলের জোরালো জল্পনা

২০১৮ সালে কমলনাথ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই কংগ্রেসের কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। তাঁকে নাকি অসম্মানও করা হচ্ছিল। এই অভিযোগ জানিয়ে যশোধরা রাজে আরও বলেন, ‘দিনের শেষে প্রত্যেকের কাছেই নিজের সম্মান খুব দামি। কিন্তু, কংগ্রেসে থেকে তা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না জ্যোতিরাদিত্যের পক্ষে। অন্যদিকে বিজেপি সবসময় তাঁদের পরিবারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে গিয়েছে। এই জন্যই মাধবরাও সিন্ধিয়া যখন গোয়ালিয়র থেকে ভোটে দাঁড়াতেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দিত না বিজেপি। জ্যোতিরাদিত্য সম্পর্কেও আমাদের মনে সেই শ্রদ্ধা রয়েছে।’

অন্যদিকে, জ্যোতিরাদিত্যকে রাজ্যসভার সাংসদ বানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দেবেন নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়ে জল্পনা চলাকালীন মধ্যপ্রদেশের সদ্য প্রাক্তন ওই কংগ্রেস নেতাকে মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সিন্ধিয়া পদবি ছাড়া জ্যোতিরাদিত্যের কাছে আর কিছুই নেই বলে কটাক্ষ করলেন।প্রশান্ত কিশোর টুইট লেখেন, ‘গান্ধী পদবীর প্রতি প্রেমের জন্য যাঁরা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন। তাঁরা নেতৃত্ব দেন বলে সবসময় সমালোচনা করেন। তাঁরা মনে করছেন একজন সিন্ধিয়া চলে গেলে কংগ্রেস জোর ধাক্কা খাবে। কিন্তু, আসল ঘটনা হল সিন্ধিয়া পদবী ছাড়া জননেতা হিসেবে জ্যোতিরাদিত্যর তেমন কোনও অবদান নেই। রাজনৈতিক সংগঠক এবং প্রশাসক হিসেবেও তিনি কিছু করতে পারেননি।’

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশ সঙ্কট: মোদী-শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য,পতনের মুখে কমলনাথ সরকার

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ইস্তফার চিঠি টুইট করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তার কয়েক মিনিটের মধ্যে কংগ্রেস থেকে তাঁকে ‘বহিষ্কার’ করা হয়। এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest