লাগাতার ট্রোল, ভয় পেয়ে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করলেন কাজল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় নামি মুখ,সেলিব্রেটিদের ট্রোল করাটা এখন অন্যতম ‘ হটকেক ‘ .সামান্য কারণে এমনকি কখনও অবান্তর কারণেও নেটিজেনদের একাংশ ট্রোলিং করতে ছাড়েন না সেলিব্রেটিদের। এর সঙ্গে তো রয়েইছে নীতি-পুলিশের দল। নেটিজেনদের এই ‘ ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে ‘ ট্রোলিং কখনও কখনও জায়গা করে নেয় কুরুচিকর ও নিম্ন মানসিকতার বিভাগেও। তাতেও অবশ্য থোড়াই কেয়ার।

article l 20191030012571146631000

বেশ কিছুদিন আগে অজয় দেবগন ও কাজলের মেয়ে নাইসাকে ট্রোলাররা আক্ৰমণ করেছিলেন। সৌজন্যে ? নাইসার শরীরের রং। নাইসার রূপ ও গায়ের রঙ নিয়ে ট্রোলারদের কুরুচিকর মন্তব্যে ও রুচিহীন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া গেছিল তাঁদের কমেন্টের মধ্যেই। এছাড়াও কখনও নাইশার মেকআপ নিয়ে সমালোচনা করা হয়, আবার কখনও নাইশা কী পরে মন্দিরে গিয়েছেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।গত বছর মে মাসে অজয় দেবগণের বাবা বীরু দেবগণ প্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুর ঠিক পর দিন নাইসার পার্লারে যাওয়ার একটি ছবি রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নেট জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আরও পড়ুন: বসন্তের ছোঁয়ায় রঙিন টলিউডও, দেখুন সেলেবদের দোলের ছবি

বহু মানুষ এই ট্রোলারদের পক্ষ নিয়ে যেমন এই বিষয়ে হাসাহাসি করেছেন তেমন এর বিরুদ্ধেও কথা বলতে ছাড়েননি অসংখ্য মানুষ। স্বয়ং অজয় দেবগনও বিচলিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরোধ করে পোস্ট করেছিলেন এসব নিয়ে আলোচনা বন্ধ হোক। প্রয়োজন পড়লে তাঁদের ট্রোল করা হোক কিন্তু তাঁদের সন্তানেরা কী অন্যায় করেছেন বা এই বিষয়ে একজন মানুষ কি করতে পারেন ? অজয় দেবগণ বলেছিলেন, “প্রত্যকের ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। বাইরে থেকে দেখে কাউকে বিচার করা সহজ। আদপে কয়জনের সত্যিটা জানার ইচ্ছে রয়েছে?”

image

এবার মেয়ে নাইসাকে ট্রোল করার ব্যাপারে মুখ খুললেন কাজল। সম্প্রতি,এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলার ফাঁকে কাজল বলেন, প্রত্যেক বাবা-মা চান তাঁদের সন্তানদের আগলে রাখতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘ এরকম ‘ ব্যাপার নিয়ে যখন কথা শুনতে হয় সেটা নিঃসন্দেহে খারাপ লাগে। তবু এরকম কথায় গুরুত্ব দেওয়ার যে কোনও প্রয়োজন নেই তা সরাসরি নেসাকে বুঝিয়েছি আমি। স্রেফ পাত্তা না দিতে বলেছি। ‘ এখানেই না থেমে কাজল আরও বলেন, ‘নাইশাকে নিয়ে যেভাবে সমোলোচনা করেন পাপারাতজি এবং নেটিজেনরা, তা দেখলে বুক কেঁপে ওঠে। কিন্তু আমি আমার ছেলেকে শেখায় মেয়েদের সম্মান দিতে ঠিক তেমনই আমি আমার মেয়েকে শেখাই আত্মসম্মানের মর্যাদা ঠিক কী। কতটা প্রয়োজনীয়।’

আরও পড়ুন: ভাল জামায় রং লেগে গেছে? জেনে নিন জামার রং তোলার ঘরোয়া উপায়

পড়াশোনার জন্য নাইশা যেহেতু সিঙ্গাপুরে থাকে, তাই বেশিকিছু জানতে পারে না। মেয়ের কাছে যাতে এই সমালোচনার আঁচ না পৌঁছতে পারে, তার চেষ্টা কাজল সব সময় করেন বলেও জানান তবে যতই চেষ্টা করুন না কেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন সমালোচনা শুরু হয় তখন তার ডালপালা নাইশার কাছে পৌঁছে যায়। নিজের সম্পর্কে ওইসব কথা শোনার পর নাইশা যেমন ভেঙে পড়ে, তেমনি মেয়ের কষ্ট দেখে মন ভেঙে যায় কাজলেরও। তবুও মেয়ের সামনে সব সময় মন শক্ত করে রাখার চেষ্টা করেন বলেও জানান তিনি।

দেখুন কী বলেছেন কাজল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest