মুম্বই: সোমবারই গাফিলতির মামলায় করোনা যুদ্ধে জয়ী কনিকা কাপুরকে নোটিস ধরিয়েছে লখনউ পুলিশ়।আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরোজিনীনগর থানায় এসে নিজের বয়ান রেকর্ড করাতে হবে শিল্পীকে। এর মাঝেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রক্তদানের আগ্রহ প্রকাশ করলেন কনিকা। সোমবারই বেবি ডল গায়িকা এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
করোনার থেকে মুক্তি পেয়ে আপাতত সুস্থ বলিউড গায়িকা কণিকা কাপুর ৷ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এখন লখনউয়ের বাড়িতেই আছেন তিনি৷ লখনউয়ের বাড়িতেই ২১ দিন নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছেন তিনি ৷
খবর অনুযায়ী, কণিকার এই ইচ্ছে প্রকাশের পর, কিং জর্জ কলেজের ডাক্তারদের একটি টিম কণিকার নমুনা সংগ্রহ করেছেন। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে কণিকার প্লাজমা ডোনেট করার জন্য উপযুক্ত কিনা। যদি সব ঠিক থাকে তবে, তবেই প্লাজমা ডোনেট করতে পারবেন কণিকা। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের অনুমতি পাওয়া গেলে ২৮ কিংবা ২৯ এপ্রিল হয়তো কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজেই প্লাজমা দান করবেন বলিউডের এই গায়িকা। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এর আগে তিনজন করোনামুক্ত রোগী তাঁদের প্লাজমা দিয়েছেন। কণিকার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে নেওয়া হবে তাঁর প্লাজমাও। এবং তিনি হবে চতুর্থতম প্লাজমাদাতা।
আরও পড়ুন: আইনজীবীদের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ, ‘হাসমুখ’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে শুরু বিতর্ক
এদিকে সম্পূর্ণ করোনামুক্তির পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে অবশেষে মুখ খুলেছেন গায়িকা। চারবার লন্ডন থেকে ফেরার ১০ দিনের মাথায় করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভর্তি হন লখনউয়ের সরকারি হাসপাতালে। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সেরে ওঠেন শিল্পী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফিরে সেল্ফ কোয়ারান্টাইনে না থেকে পার্টি করেছেন বহু মানুষের সঙ্গে। এভাবেই একাধিকের শরীরে সংক্রমণ (Coronavirus) ছড়িয়েছেন। পরিচয় দিয়েছেন দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার। সুস্থ হয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়ে সোশ্যালে সেসব নিয়ে অভিযোগের বিরুদ্ধে ইনস্টাগ্রামে লম্বা পোস্ট লেখেন তিনি।
ইনস্টায় তিনি লেখেন, “অসুস্থতার সময়ে আমার বিরুদ্ধে অনেক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমি জানি। জানি, সেগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়ানো হয়েছে আমায় অপদস্থ করতে। তারপরেও আমি চুপ ছিলাম। ভেবেছিলাম, সময়ে লোকের ভুল ভাঙবে। কিন্তু সেটা হল না দেখেই মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি। এভাবে সমস্ত দায় আমার ঘাড়ে চাপিয়ে সবাই নির্দোষ সাজলেন কী করে!”
এবং আরও বলেন, “১০ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে মুম্বইতে ফেরার পর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমার বিশেষ পরীক্ষা হয়েছিল। কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি তখন। ফলে, আমায় কোয়ারান্টাইনে যেতেও বলা হয়নি। আমিও শরীরে কোনও রোগের লক্ষ্মণ টের পাইনি। ফলে, সবার সঙ্গে পার্টি করেছি। এর প্রায় দিন দশেক পরে অসুস্থতার লক্ষ্মণ একে একে দেখা দিতে থাকে। আমার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের একজনেরও কিন্তু সংক্রমণ ধরা পরেনি। তাহলে কী করে আমি রোগ ছড়ালাম! অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই হাসপাতালে। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেও নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে রেখেছি। এরপরেও কারোর দিকে আঙুল তোলা কিন্ত অকারণে তাঁর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টি বা মনোভাব চাপিয়ে দেওয়া। যা আমার সঙ্গে হয়েছে। সবাই পুরোটা জানুন। বিচার করুন আর তারপর না হয় নিজেদের মত চাপিয়ে দিন।”
আরও পড়ুন: আমি ভারতের মানুষের কতটা প্রিয় তা হিমাচলের রাস্তায় জেনে ছিলাম, স্মৃতিচারণ ‘Rose’-এর