পদ্মফুল থেকে জোড়া ফুলে ফিরে এসেছেন তিনি। বিরোধী দল থেকে শাসক দলে ফিরে এসেও অবশ্য মুকুল রায়ের জন্য বিধানসভায় আসন বরাদ্দ রইল বিরোধী বেঞ্চেই। আসন বন্টন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিধানসভায় অনেক আলোচনা রয়েছে। সেই আলোচনা সূত্রেই মুকুলকে আপাতত বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হচ্ছে। কিন্তু পুরনো দল বিজেপিতেও যে তাঁর অনুগামী কম নেই, তা এতদিনে স্পষ্ট। এদিন একদিকে বিধানসভার ওয়েলে নেমে রাজ্যপালের ভাষণের সময় প্রবল বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি, আর অপরদিকে, মুকুল রায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে গেলেন বিজেপির দুই বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ও জুয়েল মুর্মু।
আরও পড়ুন : বিয়ের কয়েক দিন পরেই বিপাকে ইয়ামি গৌতম! অভিনেত্রীকে তলব ED’র
যদিও এই প্রণাম নেহাতই সৌজন্য বলে দাবি করেছে উভয়পক্ষকে। তবে, মানুষটা মুকুল রায় বলেই জল্পনা থেমে থাকছে না। বস্তুত গত বিধানসভাতে বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা ছিলেন মনোজ টিগ্গা। এবার বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁর নামই প্রথম উঠে আসে। কিন্তু বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে বসান বিরোধী দলনেতার আসনে। এই পরিস্থিতিতে মনোজ টিগ্গা ও সঙ্গে জুয়েল মুর্মুর মুকুলকে প্রণাম বিশেষ অর্থবহ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
অপরদিকে, তৃণমূলে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও বিধানসভায় বিরোধী আসনে বসায় মুকুল রায়কে ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার দলের রাজ্য সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুকুলকেও আক্রমণ করেন তিনি।
দিলীপের কটাক্ষ, ‘মুকুল রায়ের মতো একজন সিনিয়র নেতা BJP-র হয়ে জিতে প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগ দিলেন। আর এখন তিনি নির্লজ্জের মতো আমাদের বেঞ্চে বসে রয়েছেন। পিএসি চেয়ারম্যান হবেন বলেই কি তিনি ত্রিশঙ্কু হয়ে গেলেন? উনি বিজেপি বিধায়ক হয়ে থাকলে অন্য বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বিধানসভা ত্যাগ করলেন না কেন? কেন বসে রইলেন?’ মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে সরব হয়েছিল বিজেপি। এ নিয়ে শেষ দেখার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মুকুল আছেন নিজের খেয়ালেই। বিধানসভাতেও তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : বিনা অনুমতিতে ভ্যাকসিনের হোর্ডিংয়ে মোদীর পাশে অভিনেত্রীর ছবি! ‘ক্ষুব্ধ’ দীপান্বিতা