এক দিনে চলে গেল ২৭টি প্রাণ! কেন বাড়ছে বজ্রপাত! আসল কারণ জানুন…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

১ দিনে বজ্রপাতে ২৭ জনের প্রাণ গেল বাংলায়। ইয়াসের মতো বিপর্যয়ও এমন প্রাণঘাতী হয়নি। অথচ এক সন্ধ্যার ঝড়বৃষ্টি প্রাণ নিল হাটে মাঠে কাজ করতে যাওয়া সাধারণ মানুষের। মুর্শিদাবাদ জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জন, হুগলি জেলায় মারা গিয়েছেন ১১ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন, বাঁকুড়া জেলায় ২ জন ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১ জন। রাজ্য-কেন্দ্রে দুই তরফেই মৃতের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ। কিন্তু প্রশ্ন  বজ্রাঘাতে এত মৃত্যু কেন, কেনই বা বেড়ে চলেছে এই ভাবে বাজ পড়া!

আরও পড়ুন :  ‘মারব এখানে লাশ পরবে শ্মশানে…’, মহাগুরুর ডায়লগ-যন্ত্রণা এবার পৌঁছাল হাইকোর্টে

আবহবিদরা বলছেন, এপ্রিল,মে,জুন এই তিন মাস ঘনঘন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। তাছাড়া সদ্যই বাংলা ও উড়িষ্যায় আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকেছে। তৈরি হয়েছে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ। এর থেকেই ঝড়-বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

কিন্তু মে-জুন মাসে বৃষ্টি তো অতীতেও হয়েছে। একদিনে বাজ পড়ে ২৭ জনের মৃত্যু তো রীতিমতো অস্বাভাবিক। কেন ঘটছে এমন ঘটনা? এই বজ্রপাতের বেশ কয়েকটি কারণ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত উঁচু ফ্ল্যাট বাড়ির জন্যে বায়ুপ্রবাহের ধরন-ধারণ গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে। বজ্রপাতের ঘটনা বাড়ছে সেই কারণে। আরও একটি বড় ফ্যাক্টর সবুজের অভাব। গাছপালার পরিমাণ বেশি থাকা আশীর্বাদ মত হয়ে ছিল অতীতে। বজ্রপাত ঠেকাতে গাছপালা। কিন্তু কংক্রিটের জঙ্গল গ্রাস করেছে সবুজকে এর ফলে ও বাড়ছে বজ্রপাতের মতো ঘটনা। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বজ্রপাতের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে দূষণ। শহরে নির্মাণকার্য অভিশাপ হয়ে নেমে আসছে। অ্যাসফল্টের রাস্তা আর কংক্রিটের বিল্ডিং যত বেশি তৈরি হচ্ছে ততই বেড়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। এর ফলে ও বাজ পড়াও বেড়ে যাচ্ছে।

এর পাশাপাশি এই মৃত্যুর পিছনে অসচেতনতাও রয়েছে। বহু মানুষই সোমবার কৃষিক্ষেত্রে ছিলেন। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বারবারই বলেন বাজ পড়লে কোনও অবশ্যই পাকা বাড়ির ভিতরে বা কোনও শে়ডের থাকতে তলায়। উল্লেখ্য সোমবার আবহাওয়া দফতরের তরফে দফায় দফায় বজ্রপাতের সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে এই বার্তায় সাধারণ মানুষের কাছে ঠিক ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই বিপত্তি বাড়ছে।

আরও পড়ুন : এবার ‘‌দুয়ারে ভ্যাকসিন’‌ কর্মসূচি নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা, এবার কেবল ফোন কল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest