3 suspended students of Visva-Bharati ordered to return to class, High Court angry over VC's behavior

বিশ্বভারতীর ৩ সাসপেন্ড পড়ুয়াকে ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ, উপাচার্যর আচরণে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা হাই কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাসপেন্ড হওয়া ৩ পড়ুয়ার শাস্তি প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাঁদের ক্লাসে ফেরাতে হবে। বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁরা যেন ক্লাস করতে পারে, তা দেখতে হবে। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা অন্দোলন, বিক্ষোভ করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি।

বাসভবনে ঘেরাও থাকার সময় কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার। শুনানির পরেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর।

সমস্যার শুরু চলতি বছরের জানুয়ারিতে। অর্থনীতি এবং রাজনীতি বিভাগের লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভ, উপাচার্য ঘেরাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলেও সহযোগিতা করছে না রাজ্য। এই অভিযোগে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিশ্বভারতী (Visva Bharati University)। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার ৩৮ পাতার রিট পিটিশন দাখিল করল আদালতে। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হতে পারে শুনানি। ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড (Suspend) করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ ছিল, উপাচার্যের (VC) সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন এঁরা। সেই কারণে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করেন উপাচার্য। এর প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টে পালটা মামলা করেন ছাত্রছাত্রীরা।  পালটা রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগেও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: আজ ভবানীভবনে হাজিরা দিলেন না শুভেন্দু, সিআইডিকে করলেন ইমেল

বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। তিনি এই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানান, ওই ৩ পড়ুয়াকে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরাতে হবে। এ নিয়ে তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, ”লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাসপেনশনের শাস্তি অনেক বড় শাস্তি।” তবে পড়ুয়াদের সাসপেনশন তাঁদের ক্লাসে ফেরানোর জন্য একটি শর্তও দিয়েছেন বিচারপতি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যে ছাত্রদের অবস্থা বিক্ষোভ চলছে, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। স্বাভাবিক পঠনপাঠনের পরিবেশ ফেরাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এদিনের শুনানিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আচরণ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ”আপনি নানা বিষয়ে যেসব মন্তব্য করছেন, তা করতে পারেন না। যদি মনে করেন যে আপনি আইনের ঊর্ধ্বে, তাহলে কিন্তু আদালত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে।” উপাচার্যের উদ্দেশে তাঁর আরও পরামর্শ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের রাজনীতির মধ্যে টানবেন না। হাই কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন এই নির্দেশে স্বভাবতই খুশি সাসপেন্ড হওয়া ৩ পডুয়া। তাঁদের আন্দোলনের বড় জয় বলেই মনে করছেন।

আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রার্থী কে? দিল্লিতে ৬ জনের নাম পাঠাল রাজ্য বিজেপি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest