তৃণমূলে বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে জল্পনা আগেই শুরু হয়েছিল। শনিবার তৃণমূলের দলীয় বৈঠকের পর তাতেই সিলমোহর পড়ল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ মুকুল রায় এককালে যে পদে আসীন ছিলেন, সেই আসনই পেলেন অভিষেক।
রাজ্যের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এদিন বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সূত্রের খবর, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে প্রথমে ইস্তফা দেন অভিষেক। তাঁর পদে আসেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। আসানসোল দক্ষিণের প্রার্থী হিসেবে বিধানসভা নির্বাচনে জিততে না পারলেও রাজনীতিতে পা রেখেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। সেই ভাল কাজেরই স্বীকৃতি পেলেন টলি-অভিনেত্রী। এরপরই জানা যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হল অভিষেককে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই অভিষেককে দলের বড়সড় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: এর মধ্যেই ঘর ভাঙছে BJP-র? তৃণমূলের পথে পা বাড়িয়ে ৩ সাংসদ ও ৮ বিধায়ক
ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি। কাকলি ঘোষ দস্তিদার সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী। পূর্ণেন্দু বসুকে কিষান সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে পরিচালক তথা বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে রাজ্যের কালচারাল প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হল। সেই সঙ্গে ৯টি জেলায় দলীয় সভাপতি পদে বড় রদবদল করা হল।
এদিন দলের নেতা-মন্ত্রীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনও মন্ত্রী গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার করতে পারবেন ন। দুর্নীতিতে যেন কারও নাম না জড়ায়। কয়লা, বালি পাচার নিয়ে দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ না ওঠে।দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে হবে, কোনও অভিযোগ যেন না ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন তখন যা খুশি বলা যাবে না।
মদন মিত্র ওয়াকিং কমিটির সদস্য না হলেও তাঁকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। ফেসবুক লাইভ নিয়ে মদনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন দলনেত্রী।
আরও পড়ুন: কচুরিপানা সরাতেই বেরিয়ে এল হাত-পা! মালদহে গঙ্গায় ভেসে এল দেহ, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়