‘মমতার আগুনে অনুপ্রাণিত, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই’ তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সৌরভ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন অভিনেতা সৌরভ দাস। শুক্রবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন পর্দার ‘মন্টু পাইলট’। বহু নেতামন্ত্রীদের দল ছাড়ার হিরিকের মাঝেই এটা তৃণমূলের তরফে কিছু নতুন চমক ছিল বললেও ভুল হয় না। এদিনে সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে সৌরভের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পার্থ চট্টপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সৌরভ বলেন, তিনি তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং মানুষের জন্য কাজ করতেই রাজনীতিতে এসেছেন।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে জোড়াফুলের পতাকা তুলে নিয়ে সৌরভ বলেন, “গতকাল (২১ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার) আমার জন্মদিন ছিল। আমি ভাবি, আমার পুনর্জন্ম হল। বাবা অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। অনেক দিন থিয়েটার করেছেন, কিন্তু কখনও প্রাপ্য সম্মান পাননি। আজ যে নতুন পথে হাঁটতে শুরু করলাম সেটাও বাবার আরেকটা স্বপ্ন। বাবা ছাত্র রাজনীতি করেছেন। অনেক লড়াই করেছেন। কথা দিচ্ছি, যতদিন আমি দিদির সঙ্গে আছি, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছি সৎ থাকব। মানুষের জন্য করব।”

আরও পড়ুন: মোদির সফরের আগেই মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন ‘বেসুরো’ রাজীব, তৃণমূল ছাড়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা

‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে আগুন রয়েছে, তা অনুপ্রাণিত করেছে’, সে কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁর যোগাদান। কোনও রাখঢাক না করেই এ কথা জানিয়েছেন সৌরভ দাস। সৌরভ এদিন আরও বলেন, ‘‌এমনিও আমরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলি। সব কথার শেষে বলতাম, জয় বাংলা। আজ আমার গর্ব বোধ হচ্ছে। এটা ভেবে যে আমার মাথায় দিদির হাত আছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আছে। তাই এটা আমি বলতে পারি, জয় বাংলাটা সব থেকে জোরে আমিই বলতে পারব।’‌ এর পরই ‘‌জয় বাংলা’‌ স্লোগান দেন সৌরভ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা যে তাঁকে জোড়াফুলের পতাকা বহনের জন্য যোগ্য মনে করেছেন, তার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন সৌরভ। এদিন সৌরভ দাস ছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন শিক্ষক সংগঠনের নেতা নিউটন মজুমদারও।

বর্তমান যুবসমাজের কাছে অত্যন্ত পরিচিত মুখ সৌরভ। তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও বিশাল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিনেতা দেব, সোহমদের মতো সৌরভ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নতুন প্রজন্মের কাছে আরও পৌঁছতে পারবে রাজ্যের শাসকদল। ভোটের আগে যা যে কোনও রাজনৈতিক দলের অন্যতম লক্ষ্য।

আরও পড়ুন: নাম না করে অধিকারীদের ‘নতুন’ নন্দীগ্রামে ধুয়ে দিলেন মমতা

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest