দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পর আজ, শুক্রবার খুলল রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা (Zoo)। দর্শকদের কী কী বিধি মেনে চলতে হবে, কী করা যাবে না, তার বিস্তারিত গাইডলাইন ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছে বিভিন্ন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, দর্শকরা সমস্ত বিধি মানছেন কি না সেদিকে নজরদারি চলবেই। কিন্তু আজ পরীক্ষা হবে চিড়িয়াখানার আবাসিকদেরও!
রাজ্যে মোট ১২টি চিড়িয়াখানা। প্রত্যেক বছর এই সব চিড়িয়াখানায় ৫০ লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থী ভিড় করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আলিপুর চিড়িয়াখানা ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। এই দুটিতেই ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ প্রত্যেক বছর যান।
দেশের সব থেকে পুরনো আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ, হাতি, সিংহ, ক্যাঙ্গারু, জিরাফ, অ্যানাকোন্ডা এবং শিম্পাঞ্জির মতো অনেক বিপন্ন প্রজাতির জীবজন্তু রয়েছে। ওদিকে, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় হিমালায়ান প্রজাতির জীবজন্তু সংরক্ষণ করা হয়। এখানে প্রধান আকর্ষণগুলি হল— লাল পান্ডা, স্নো লেপার্জ, নীল ভেড়া, তিব্বতী নেকড়ে, সালামান্ডার ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ, কর্মীদের চাঙ্গা করতে যেতে পারেন উত্তরবঙ্গে
এই দুটি চিড়িয়াখানা সম্প্রতি এখানকার বাসিন্দা কয়েকটি প্রাণীর ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করেছিল। এই মহামারীর সময় বাড়িতে বসে দিনে ২ ঘণ্টা পছন্দের প্রাণীর লাইভ ভিডিও দেখে অনেকেই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছেন। তবে এবার সেই বিধিনিষেধ আর থাকল না।
দর্শকদের জন্যও বিশেষ কিছু বিধি থাকছে। প্রথমত, এনক্লোজারের বাইরে গোল দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে তার মধ্যেই দাঁড়াতে হবে দর্শকদের। থুতু বা পানের পিক ফেলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। থাকবে স্যানিটাইজার টানেল। তার ভিতর দিয়েই ঢুকতে হবে। চিড়িয়াখানায় ঢোকার মুখেই শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছেই। চিড়িয়াখানার ভিতরে জল খাওয়ার ব্যবস্থা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
পানীয় জল বাড়ি থেকে আনতে হবে। খাবার নিয়ে ঢোকা যাবে না। সব মিলিয়ে যে কোনওরকম স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। টানা তিন ঘণ্টার বেশি আপাতত দর্শকদের চিড়িয়াখানায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তবে ফেসবুক লাইভ যেমন চলছিল তেমনই চলবে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই পুজোর সাজ! পাঞ্জাবি-পায়জামাতে মহারাজকে দেখে মাতোয়ারা নেটপাড়া