বিজেপি ভোটে হেরেই সেলের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ সরাচ্ছে কলকাতা থেকে, ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখলেন অমিত মিত্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিজেপি ভোটে হেরেই কলকাতা থেকে সেলের গুরুত্বপূর্ণ দফতর সরিয়ে নিচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম মারফৎ তিনি জেনেছেন ইস্পাত মন্ত্রকের অধীন সেলের ‘র মেটেরিয়াল ডিভিশন’ (আরএমডি) সদর দফতর কলকাতা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে একঝাঁক আশঙ্কার কথা মন্ত্রীকে শুনিয়ে রেখেছেন অমিত।

সেইল–এর কাঁচামাল বিভাগ বা আরএমডি-তে স্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫০। অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যাও অনেক। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সেই কর্মীদের পরিবারকে মারাত্মক চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এমনকী এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে চরম সংকট দেখা দেবে বলে উল্লেখ করেছেন অমিত মিত্র। চরম সমস্যার মধ্যে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের দুই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা দুর্গাপুর ষ্টিল প্লান্ট এবং ইসকো। তাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন তিনি।

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। সেই কথা স্মরণ করিয়ে অমিত লিখেছেন, ‘আরএমডি-র এই দফতরটি কলকাতা থেকে সরিয়ে নিলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে দুর্গাপুর ও বার্নপুরের ইস্পাত শিল্পে। মনে করা হবে বিজেপি-র ভোটে পরাজয়ের কারণেই এমনটা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: মাতৃহারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাজীব, বললেন ‘আজ কোনও কথা নয়’

চিঠিতে মন্ত্রীকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মন্ত্রকের দফতর কলকাতা থেকে সরানোর কথা জানতে পেরে কর্মী ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা দিল্লিতে ইস্পাত ভবনে আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে সেলের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব নিয়েছেন যিনি, দুর্গাপুর ও বার্নপুর স্টিল প্লান্টের শ্রমিক প্রতিনিধিদের কোনও কথাই শুনতে চাননি। তাই এই সিদ্ধান্তটি যে মন্ত্রীর, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত বলেই জানিয়েছেন অমিত।

কলকাতা থেকে আরএমডি-র দফতর সরানো হলে, তার সরাসরি প্রভাব পড়বে দুর্গাপুর ও বার্নপুরে স্টিল প্লান্টে। কারণ, বর্তমানে এই দুই শিল্পাঞ্চলে কাঁচামাল পায় ৬৫০ টাকা প্রতি টন হিসেবে। কিন্তু দফতরটি একেবারে সরে গেলে খোলা বাজার থেকে কাঁচামাল কিনতে হবে ৯৫০০ টাকা টন দরে। এত চড়া দামে কাঁচামাল কিনতে হলে ক্ষতি হবে দুটি শিল্পাঞ্চলেরই। দু’টি শিল্পাঞ্চলে মোট ১৪,৪০০ মানুষ কাজ করেন। যৌথ ভাবে তাঁদের লাভের পরিমাণ ১,৪৮৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে এমন দু’টি লাভজনক সংস্থা প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বৈশাখীর নামে লিখে দিয়েছেন, ঘোষণা করলেন শোভন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest