“কে বিমল গুরুং? ওটা ক্লোজড চ্যাপ্টার।” গর্জে উঠলেন বিনয় তামাং ও অনীত থাপারা।মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিমল গুরুং নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিনয় তামাং।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিনয় তামাং জানান, “মিটিং খুব ভালো হয়েছে। পাহাড়ে শান্তি বজায়ের ব্যাপারে সব কিছুই কথা হয়েছে। জিটিএ নিয়ে যে যে ইস্যু রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন। মিরিক নিয়ে কথা হয়েছে।”
আরও পড়ুন : বুধবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, সঙ্গে ফিরছে মধ্যাহ্নভোজ সেই পুরনো রাজনীতি
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) প্রধান বিনয় গুরুং এবং তাঁর সহকারী অনীত থাপাকে এ দিন নবান্নে বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রাক্তন জিটিএ প্রধান বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বিনয় শিবিরের সমঝোতা করাতেই ওই বৈঠক।
বিমল গুরুং প্রশ্নে কার্যত ফুঁসে ওঠেন বিনয় তামাং। বলেন, “বিমল কে? কেন তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন? রোশন কে? ওর ব্যাপারে কোনও আলোচনা হয়নি। ওর নামে ১৬০টি কেস আছে। কোর্ট বলেছে অফেন্ডার। তাই এব্যাপারে জুডিশিয়ারিকে রেসপেক্ট করতে হবে। আমরা ফিল্ডে আছি ওরা নয়।” জিটিএ-র বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফান্ড চেয়েছেন বলে জানান বিনয় তামাং। তিনি বলেন, “১৭৫ কোটি চেয়েছিলাম। অতিরিক্ত আসবে।”
বিনয় এ দিন হাবেভাবে বোঝাতে চেয়েছেন, পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুং আর আদৌ প্রাসঙ্গিক নন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছি।” উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে ফের পর্যটকদের ভিড়। এই কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁদের কী ভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় তার পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। পর্যটন পাহাড়ের সবচেয়ে বড় শিল্প। পর্যটকদের আনতে পাহাড়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”
নবান্ন সূত্রে খবর, দুপক্ষের মধ্যে জিটিএ-র উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়। বৈঠক সফল হয়েছে। টাকার জন্য যাতে কাজ আটকে না যায়, সেই মর্মে জিটিএ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সুরিন্দর গুপ্তাকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সব বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বিনয় তামাংদের সাহায্য করতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এব্যাপারে দেখতে বলেন মুখ্য়মন্ত্রী।
আরও পড়ুন : ONLINE GAMING : বিরাট-সৌরভদের বিরুদ্ধে নোটিস আদালতের