Lady Doctor from SSKM hospital alleged that she has been sexually harassed by her senior

SSKM হাসপাতালে ‘যৌন হেনস্থা,’ সিনিয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন খোদ চিকিৎসক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। মাসখানেক আগে ওই চিকিৎসকের বিরদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালেরই এক পড়ুয়া-চিকিৎসক। সেই অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ কমিটি। কমিটির দেওয়া রিপোর্টে নির্যাতিতার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যৌন হেনস্থার বিষয়টি জানান নির্যাতিতা পড়ুয়া-চিকিৎসক। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে ভবানীপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে করা অভিযোগে নির্যাতিতা জানান, ২০২০ সাল থেকেই যৌন হেনস্থার শিকার তিনি। নানা অছিলায় অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে হেনস্থা করত বলে অভিযোগ করেছেন ওই পড়ুয়া-চিকিৎসক।

অভিযোগকারী মহিলা চিকিৎসকের দাবি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে  হায়দরাবাদের একটি হোটেলে তাঁকে নানাভাবে যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত তাঁকে হোটেলের রুমে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় তাঁকে জাপটে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। তবে কলকাতায় আসার পরেও সেই হেনস্থার ঘটনা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। হোয়াটস অ্য়াপেও তাঁকে নানাভাবে বিরক্ত করা হত বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: নির্বাচনী স্লোগানের পর এবার ‘খেলা হবে’ দিবস বাংলায়, বিধানসভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এই অভিযোগের ভিত্তি খতিয়ে দেখতে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিণী দু’তরফের বক্তব্যই শুনেছে ওই কমিটি। এর পরই বিষয়টি নিয়ে মে মাসে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ওই কমিটি। সেই রিপোর্টে নির্যাতিতা অভিযোগ সত্যি ছিল বলে জানা গিয়েছে।

সেই হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর প্রায় মাস ছয়েক কেটে গিয়েছে, এখনও সুবিচার পাননি ওই মহিলা চিকিৎসক। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। ওই মহিলা চিকিৎসককে বার বার ডেকে পাঠিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হত বলে অভিযোগে উল্লেখ করে হয়েছে। এরপর ঘটনার অন্তর্বর্তী রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনেও জমা পড়ে। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে সেই রিপোর্টও চেপে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী সেই অভিযোগের পর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিও তৈরি হয়। কিন্তু সেই কমিটি তদন্ত কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে গোটা ঘটনায় স্বাস্থ্যভবনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ না করে মানুষের দুর্দশা কমান’, সৌমিত্রর খাঁর পর শুভেন্দুকে খোঁচা রাজীবের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest