আবার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা বাংলার মাথায়। সেরার সেরা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College) সদ্য ডাক্তার অমর্ত্য সেনগুপ্ত। সার্জারিতে ভরতির সর্বভারতীয় পরীক্ষায় (নিট পিজি) (NEET PG) প্রথম স্থান অর্জন করে যিনি ইতিহাস গড়েছেন।
এবার ওই পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় পৌনে দু’লক্ষ ডাক্তার। তাঁদের মধ্যে সার্জারিতে প্রথম স্থানাধিকারী অমর্ত্য এমএস করতে যোগ দিয়েছেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (AIIMS)। বস্তুত বাঙালিদের মধ্যে এই সাফল্যের প্রথম দাবিদার তিনিই। কলকাতা থেকে ফোন পেয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বরাবর ছিল। এখন তো আমি পুরোদস্তুর ডাক্তার। এখন রাউন্ডে আছি।”
এমবিবিএস পাশ করার পরে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য ওই দু’টি পরীক্ষা হয়। দিল্লির এমস, পুদুচেরির জিপমার মেডিক্যাল কলেজ এবং পিজিআই চণ্ডীগড়—এই তিনটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য আইএনআই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয়। আবার অন্যান্য কলেজে ভর্তির জন্য রয়েছে ‘নিট-পিজি’ প্রবেশিকা পরীক্ষা। ওই দু’টি পরীক্ষাতেই বসেছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস অমর্ত্য।
মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “করোনা আবহে রোগীর চিকিৎসার সঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি, দুটোই ও সমানভাবে করেছে। পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। অমর্ত্যর জন্য আমরা গর্বিত।”
ব্যান্ডেলের কোদালিয়ার বাসিন্দা আইনজীবী সুশোভন সেনগুপ্ত এবং মধুমিতা সেনগুপ্তর একমাত্র সন্তান অমর্ত্য। তাঁর জেঠু চিকিৎসক।এ দিন অমর্ত্য বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে চাপ তো ছিলই। তার মধ্যেই যখন যেমন সময় পেতাম, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতাম। বাঁধাধরা কোনও সময় ছিল না। এমস-এ সুযোগ পাওয়ার পরেও ভাবলাম, আবেদন যখন করেছি তখন ‘নিট-পিজি’ পরীক্ষাটাও দিই।’’ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দু’টি পরীক্ষাতেই দেশের মধ্যে প্রথম হওয়ার জন্য ওঁকে অনেক অভিনন্দন। বাংলার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’’