সৌরভ না শুভেন্দু ? বাংলায় পদ্মের মুখ সামনে আনতে ভয় পাচ্ছে বিজেপি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিজেপি ক্ষমতায় এলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? সৌরভ বা শুভেন্দু? কাকে সামনে রেখে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন লড়বে কেন্দ্রের শাসক দল? শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাংবাদিক বৈঠকে এটাই ছিল প্রধান প্রশ্ন। তার স্পষ্ট উত্তর মিলল না। অমিত শাহ বলেন, দু’টি নাম বলছেন কেন, তালিকা তো দীর্ঘ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নিন্দা ‌আর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রশস্তি দিয়েই অমিত শাহ শুরু করেন সাংবাদিক বৈঠক। তাঁর ডান দিকে বসে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আর বাঁ দিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

আরও পড়ুন : জালালউদ্দিন রুমির 30 টি অসাধারণ বাণী বদলে দিতে পারে আপনার জীবন

অনেক দিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপি-যোগ নিয়ে জল্পনা রয়েছে বিভিন্ন মহলে। সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হতে পারেন বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

তবে দ্বিতীয়টি হলে তা যে দিলীপ ঘোষরা ভালোভাবে নেবেন না তা বুঝতে বাকি নেই কারও। বিজেপির এই এক মুশকিল। কেন্দ্রীয় বিজেপি বাংলার মাটি চেনে না। আর রাজ্য বিজেপির ইনডোর গেম হল নিজেদের ‘কাটি করা।’ তৃণমূল ফেরত বিজেপি নেতাদের চাপে আদি বিজেপি নেতাদের হাল খারাপ। কেন্দ্রীয় বিজেপির রণনীতি হল তৃণমূলতাকে ভাঙা। লোকসভার পর এরকমই একটা ছক তারা কষেছিল।

লকেট চ্যাটার্জি কিংবা শমীক ভট্টাচার্যের নাম এবিপি ছাড়া বোধহয় অনেকে ভুলেই যেত। প্যানেলে আসেন বলে তাও কিছুটা চর্চা হয়। রাহুল সিনহাও একপ্রকার ‘কারশেডে।’ ঘাসফুলের বাগান ছেড়ে আসা তৃণমূলীরাই এখন কেন্দ্রীয় বিজেপির ঘনিষ্ট। তথাগতকেও রিজার্ভ বেঞ্চে রাখা আছে। তবে সৌরভের মত তেমন ফেসভ্যালু আর কারও নেই। দিলীপ ঘোষরা আরএসএসের লোক তারা কি আরএসএসের লোক ছাড়া কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নেবে ?

শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, তাতে বং বিজেপির অন্দরে কোন্দল হবেই। এমনিতেই নেতারা নিজেদের মধ্যে লবি বানিয়ে রেখেছেন। যা অমিত শাহের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। তিনি নাকি গোপনে ধমকও দিয়েছেন। এমন যখন অবস্থা, তখন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির কাছে একটা বিরাট বিড়ম্বনা। তবে বিজেপির জন্য সবথেকে বেশি মানুষটি খাটছেন রাজ্যপাল ধনখর। কেবল বিজেপির কারণে রাজ্যপালের মত পদের গরিমা তিনি ধুলোয় লুন্ঠিত করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপাল হওয়া বড় কথা নয়,বড় কথা হল যারা রাজ্যপাল বানিয়েছে তাদের প্রতি প্রকাশ্যে আনুগত্য প্রদর্শন।

আরও পড়ুন : গদি হারাচ্ছেন ট্রাম্প, জেল হেফাজতে অর্ণব, মন খারাপ আরএসএস প্রেমীদের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest