নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মোট তিন ভাগে ভাগ করা হল দেশের জেলাগুলিকে। কেন্দ্রীয়় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় করোনা সংক্রামিত জেলার মধ্যে স্থান পেয়েছে রাজ্যের মোট ১১টি জেলা।
আরও পড়ুন: জুনে উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা, একাদশের সকলে পাশ,ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হটস্পট তালিকাভুক্ত অতিরিক্ত সংক্রামিত (লার্জ আউটব্রেক) জেলা, হটস্পট তালিকায় থাকা ক্লাস্টারযুক্ত জেলা এবং নন-হটস্পট তালিকায় থাকা জেলাগুলিতে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বিধি বলবৎ থাকবে। বাকি গ্রিন জোন তালিকায় থাকা জেলাগুলিতে আগামী ২০ এপ্রিলের পর নিষেধাধাজ্ঞা শিথিল করা যেতে পারে।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় হটস্পট বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দেশের মোট ১২৩টি জেলা। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪টি জেলা- কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনা। দেশের ক্লাস্টারযুক্ত হটস্পট জেলাগুলির সংখ্যা ৪৭। এই তালিকায় রাজ্যের কোনও জেলা অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: দেশে ১৭০ জেলা হটস্পট, রাজ্যের ১১ জেলায় করোনার দাপট
নন-হটস্পট জেলার তালিকায় রয়েছে বাংলার ৭টি জেলা। এই জেলাগুলিতে তুলনায় কম সংক্রমণের হার রয়েছে এবং সেখানে সম্প্রতি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দার্জিলিং। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে নতুন কোনও সংক্রমণের খবর না পাওয়া গেলে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
কোন অঞ্চলে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে, সে ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনকে রিপোর্ট তৈরি রাখতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে হটস্পটের তালিকা পরে বদল করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় ধর্মের বিভাজন! আহমেদাবাদে হিন্দু- মুসলিমদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড