মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন। আর এই উত্তরবঙ্গের জেলারই বিজেপি বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। জল্পনাকে সত্যি করে আজ বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসেই যোগ দিলেন রায়গঞ্জের দাপুটে বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। একুশের নির্বাচনের তিন মাস আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর ফলাফলের চার মাস পর ফিরলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। স্বাভাবিকভাবেই আরও বিধায়ক সংখ্যা কমল গেরুয়া শিবিরের।
বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ। গিয়েই রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি-র টিকিট পেয়ে জিতেও যান তিনি। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধী শুরু হয় তাঁর। প্রকাশ্যেই দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁকে হারানোর চক্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। বিরোধী এমন জায়গায় পৌঁছায় অঘোষিত ভাবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। আর বুধবার বিজেপি ছেড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’ হল কৃষ্ণর।
ভোটের মাস তিনেক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান কৃষ্ণ। ঘাসফুল শিবিরে ফিরে সেই কৃষ্ণ বলছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কথা দেন, তা করে দেখান। ভোটের আগে উনি যা যা বলেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরে সব করে দেখিয়েছেন। আমি তা দেখে অভিভূত। ধন্যবাদ জানাই মমতা’দি এবং অভিষেক’দাকে।’’ আগের দল সম্পর্কে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘বিজেপি-তে ভাল কাজের মূল্যায়ন নেই। ছ’মাস আগে ভুল করেছিলাম। এ বার তা শুধরে নিচ্ছি।’’ মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতেও বিজেপি-র সমালোচনা করেছেন তিনি।
বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র পক্ষে জয় পেয়েছিলেন ৭৭ জন। কিন্তু সাংসদ পদ ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার পদত্যাগ করায় সেই সংখ্যা নেমে এসেছিল ৭৫-এ। কিন্তু একে একে পাঁচজন বিধায়কের দলত্যাগে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা নেমে এল ৭০-এ। তবে দলত্যাগী বিধায়কদের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার তিনমাস অপেক্ষা করে মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। কিন্তু তাতেও বিধায়কদের দলত্যাগ রোখা যাচ্ছে না।