কলকাতায় একের পর এক এটিএম থেকে টাকা চুরির ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই চারজনের নাগাল পেয়েছে পুলিশ৷ চারজনের মধ্যে দু’ জনকে গুজরাতের সুরাত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বাকি দু’ জনকে ধরা হয়েছে কলকাতা থেকেই৷
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ধৃত বিশ্বদ্বীপ রাউত ও আব্দুল সইফুল মন্ডল। সুরাট থেকে ধৃত গ্রেফতার মনোজ গুপ্তা (৪০) ও নবীন গুপ্তা (৩০)। দুজনেই নিউ দিল্লির বাসিন্দা। আজই কোর্টে তোলা হবে তাদের।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বাতিলের সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন
এই চার জালিয়াতির লুঠ করার কৌশলের রহস্য ভেদ করতে উঠে পড়ে লেগেছিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে যাদের গ্রেফতার করেছে পুলিস, তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতেন দিল্লিবাসী মনোজ গুপ্তা (৪০) ও নবীন গুপ্তা (৩০)। সেই অ্যাকাউন্ট ট্র্যাক করেই পাকড়াও করা হয় জালিয়াতদের।
কয়েকদিন আগেই কাশীপুর, নিউ মার্কেট, যাদবপুর এবং বউবাজারের চারটি এটিএম থেকে মেশিন না ভেঙেই লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা৷ অত্যাধুনিক ডিভাইসের সাহায্যে ব্যাঙ্কের নিজস্ব সার্ভারকে কার্যত বোকা বানিয়ে টাকা তোলা হত বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের৷ তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক প্রতারণা দমন শাখার তদন্তকারীরা সন্দেহ করেছিলেন, এই প্রতারণার পিছনে ফরিদাবাদের একটি গ্যাং থাকতে পারে৷ প্রতারকদের নাগাল পেতে কলকাতা পুলিশের অফিসাররা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন৷ এর পরই সুরাত থেকে মনোজ গুপ্ত (৪০) এবং নবীন গুপ্ত (৩০) নামে দু’ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এরা দু’ জনেই দিল্লির ফতেহপুর বেরির বাসিন্দা৷ এর পাশাপাশি কলকাতা থেকে বিশ্বদ্বীপ রাউত এবং আব্দুল সইফুল মণ্ডল নামে আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়৷ ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ডেবিট কার্ডের মতো বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
সুরাত থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তকেই কোর্টে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে৷ পাশাপাশি কলকাতায় ধৃত আরও দু’ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে কীভাবে প্রতারণা চালানো হল, এই চক্রে আর কারা কারা যুক্ত আছে, তা বিশদে জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে৷
আরও পড়ুন : Bhatpara: ফের ভাটপাড়ায় ব্যাপক বোমাবাজি, উড়ে গেল মাথার খুলি, শাসক–বিরোধী তরজা