Babul Supriya gets emotional after getting courtesy of Mahua Maitra

তৃণমূলে এসেই মহুয়া মৈত্রর সৌজন্যে আবেগতাড়িত হলেন বাবুল সুপ্রিয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

তাঁরা দু’জনেই বলিয়ে কইয়ে সাংসদ। সংসদে তো বটেই বিভিন্ন বিতর্ক সভায় তাঁদের বাক্যবাণ বিরোধী পক্ষকে ধরাশয়ী করে। কিন্তু দুই নেতার সম্পর্কটা মোটেই ভাল নয়। অন্তত এতদিন তাই ছিল। একজন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), আরেকজন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তবে পাল্টে গেল ছবিটা। একদা দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবার একই দলে। শনিবার বাবুল তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়ে প্রথম টুইটটি করলেন মহুয়ার উদ্দেশে। সেটাও আবার মহুয়ারই টুইট রিটুইট করে।

গত ৩১ জুলাই রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বাবুল সুপ্রিয়। তার পর শনিবার দলবদল আসানসোলের দু বারের বিজেপি সাংসদের। আর বাবুলের তৃণমূলে যোগদানের পরই উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লিখলেন “আমার লোকসভার সহকর্মীকে স্বাগত। একসঙ্গে ব্যাট করার জন্য মুখিয়ে আছি। যা আগে ভিন্ন দলে থেকে করতাম।”

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস। একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্কে একদিকে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে মহুয়া মৈত্র। সেখানেই তাঁর সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছেন বাবুল বলে অভিযোগ তোলেন মহুয়া। ‘লাইভ’ তর্কাতর্কি চলার মধ্যেই বাবুল তাঁকে বলে বসেন, “মহুয়া আর ইউ অন মহুয়া”, অর্থাৎ, “মহুয়া আপনি কি মহুয়া খেয়ে আছেন?” উল্লেখ্য, একটি উত্তেজক পানীয় হিসেবে পরিচিত মহুয়া। তাই বিতর্কসভায় বাবুলের ওই মন্তব্যের ঘোরতর প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সাংসদ। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আলিপুর থানায় বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে একজন মহিলার সম্মানহানির অভিযোগে বাবুল সুপ্রিয়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে চার্জশিটও দেয় আদালত।

পরে মহুয়া বলেছিলেনন, ‘‘ওঁর সঙ্গে আমার কোনও রকম ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব নেই, কখনও মুখোমুখি কথা পর্যন্ত হয়নি। উনি একজন মন্ত্রী হয়ে, সারা দেশের সামনে, সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় এ কথা বলে আমায় অপমান করেছেন। একজন মহিলা হিসেবে আমার আইনি অধিকার আমি বুঝে নেব।’’ অন্যদিকে বাবুল অবশ্য তাঁর মন্তব্যের পক্ষে সওয়াল করে দাবি করেছিলেন, মহুয়ার উত্তেজিত বাক্যবাণের মুখে তিনি নেহাত মজা করেই ওই কথাটা বলেছিলেন। কিন্তু মহুয়ার পাল্টা জবাব ছিল ‘‘মজা কিনা, সেটা আইনই বলবে।’’  এর পর অবশ্য সেই মামলা খারিজ হয়। তবে একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বাবুলের এহেন মন্তব্য করার আগে ভাবনাচিন্তার দরকার বলেও মন্তব্য করে আদালত।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest