Site icon The News Nest

রত্নার ‘খুনের হুমকি’ নিয়ে পুলিশে বৈশাখী, রত্নার পাল্টা, আমার স্বামীকে খুন করবে ও!

sovan 1

এ বার রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna chatterjee) বিরুদ্ধে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan chatterjee)বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi banerjee)। পুলিশ কমিশনারের কাছে রত্নার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বৈশাখীর অভিযোগ, রত্না প্রকাশ্যে তাঁকে খুনের হমকি দিয়েছেন। বৈশাখার কথায়, ‘‘উনি প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমাকে এবং শোভনকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানো হবে! উনি তো কোনও সাধারণ মানুষ নন। উনি এখন একজন বিধায়ক। ওঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি আছে। তাই আমি আতঙ্কিত। সেই কারণেই পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’

আরও পড়ুন: স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বৈশাখীর নামে লিখে দিয়েছেন, ঘোষণা করলেন শোভন

বৈশাখীর অভিযোগের জবাব দিয়েছেন রত্নাও। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘‘আমি তো মনে করি, আমার স্বামীর প্রাণসংশয় হয়েছে। বৈশাখী আমার স্বামীর সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। সেটাই ও বরাবর চেয়েছিল। এবার আমি আমার স্বামীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছি। ও তো পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছে শুধু। আমি আমার স্বামীর প্রাণের নিরাপত্তার জন্য বড় বড় প্রশাসকদের কাছে যাব।’’

বুধবার বৈশাখী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নাম বদলে লেখেন ‘বৈশাখী শোভন ব্যানার্জি’। সঙ্গে লেখেন, ‘দ্য জার্নি ফ্রম মি টু উই বিগিন’। অর্থাৎ, ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’-র অভিমুখে যাত্রা শুরু হল। অন্যদিকে, বুধবারেই শোভন ঘোষণা করেন, তিনি নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বৈশাখীর নামে লিখে দিয়েছেন। বৈশাখীকে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’-ও দিয়ে দিয়েছেন।

শোভনের অবর্তমানে তো বটেই, এখন থেকেই তাঁর সমস্ত সম্পত্তির অধিকারিণী হবেন একমাত্র বৈশাখী। বান্ধবী হিসেবে পাশে থাকার জন্যই তিনি বৈশাখীকে নিয়ে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে শোভন বলেন, ‘‘আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি—সব কিছু লিখে দিয়েছি বৈশাখীকে। আমার অবর্তমানে নয়, এখন থেকেই সবকিছুর অধিকারিণী বৈশাখী।’’

তার পরেই বুধবার বৈশাখী রত্নার বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ জানান। তার আগে বুধবার বৈশাখীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নাম বদল প্রসঙ্গে রত্না বলেছিলেন, ‘‘শোভনের বিপদে আর কোনও দিন যাব না। আমি আর ওদের নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। এদিকে নজর দিতে গিয়ে আমার সব কাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন শুধু আমি রত্না চট্টোপাধ্যায় নই। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী একটি বিধানসভার দায়িত্বও দিয়েছেন। ওরা ওদের কাজ করুক। আমি যে দায়িত্ব পেয়েছি, সেই দায়িত্ব পালন করতে চাই।’’

নিজের ওই অবস্থান প্রসঙ্গে বেহালা পূর্বের বিধায়কের ব্যাখ্যা ছিল, ‘‘আর যাব না। তার কারণ, অপমানিত হওয়ার একটা সীমা আছে। মান-অপমান বোধ নিয়েই তো মানুষ। সিবিআই-এর দফতরে যাওয়া থেকে হাসপাতালে যা যা হয়েছে, সবাই দেখেছে। তাই আর কখনও এমন পরিস্থিতি এলে আমি যাব না।’’ কিন্তু রাত পোহাতে না পোহাতেই আবার বৈশাখী-শোভনের সঙ্গে চাপানউতর শুরু হল রত্নার।

আরও পড়ুন: এবার শিশুদের টিকাকরণের পালা! রাজ্যে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল, কোথায় জানুন…

Exit mobile version