‘খুনি গাছ’! বটানিক্যাল গার্ডেনের অবিশ্বাস্য ঘটনায় কপালে চোখ বিজ্ঞানীদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শ্বাসরোধ করে একটি গাছ আরেকটি গাছকে ‘খুন’ করেছে । শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই ঘটেছে হাওড়ার শিবপুরের আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে। সেখানে একটি বটগাছের গ্রাসে চলে গেছে গোটা একটি রুদ্রাক্ষ গাছ। ঠিক যেভাবে অজগর শিকার করে ঠিক সেইভাবে রুদ্রাক্ষ গাছটিকে গিলে ফেলেছে বট গাছটি।

৫০ বছর আগে বসানো ওই রুদ্রাক্ষ গাছের অন্তর্ধান রহস্যের জাল ভেদ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের সামনে উঠে এসেছে এই তথ্য। এরপর উদ্যানের রেকর্ড ঘেঁটে জানা যায় উধাও মোট ১৭৪টি গাছ। মৃত্যুর মুখে আরও অনেক বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ।মূলত বট ও অশ্বত্থ গাছই ওই গাছগুলিকে মেরে ফেলেছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু উদ্যানেই নয়, অন্য জায়গাতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: শূন্যপদ ১৬,৫০০, primary teacher নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

বটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী বসন্ত সিং জানাচ্ছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে মোরাসি প্রজাতি কিছু গাছ, মুলত বট। পাখিরা এই গাছের ফল খায়, তারপর সেই ফল বা পাখির বিষ্ঠা পড়ে অন্য গাছের ওপর। সেখান থেকে ওই গাছগুলির ওপরে জন্মায় নতুন গাছ। নতুন গাছে ঝুরি অন্য গাছটিকে ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলে। অবশেষে প্রচণ্ড চাপে এবং আলো বাতাস না পেয়ে মৃত্যু হয় ভিতরের গাছটির। এক্ষেত্রে শিবপুরের পৃথিবী বিখ্যাত গ্রেট ব্যনিয়ান ট্রি-ও এইভাবে একটি খেজুর গাছকে মেরে ফেলেছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

শুনে মনে হবে ঠিক যেন মানুষের নিষ্ঠুরতার কথা বলা হচ্ছে। কেউ কেউ মনে করেন আসলে প্রকৃতি ভীষণ জ্ঞানী। কিভাবে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয় তা তার জানা। জঙ্গলে যখন বহু গাছ জন্ম নেয় তখন এইভাবে বট এবং অশ্বত্থ এই অরণ্য প্ল্যানিংয়ের কাজটি করে। প্রকৃতি তো জানত না, মানুষ একাই সব শেষ করে দেবার পক্ষে যথেষ্ট। মানুষ ছাড়া এই বিশ্বের সমস্ত প্রজাতি নিজেদের দায়িত্ব অত্যন্ত সৎভাবে পালন করে। প্রকতির ক্ষতি না করে। সকলেই নিজের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকে।

এই প্রসঙ্গে বটানিক্যাল গার্ডেনের যুগ্ম অধিকর্তা কনাদ দাস জানান, এটি উদ্যান, কোনও অরণ্য নয়। কোনও গাছ যত্রতত্র অরণ্যে জন্মাতে পারে, উদ্যানে নয়। বহু অবাঞ্ছিত গাছকে বড় হতে দেওয়ার জন্যই এই বিপত্তি ঘটছে। এবার থেকে যে সমস্ত গাছ বসানো হবে এবং সংরক্ষণ করা হবে সেগুলি ছাড়া আর কোনও গাছ উদ্যানে রাখা হবে না। এমনকি সংরক্ষিত গাছের ওপরেও গাছ জন্মালে তা সরিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: করোনায় প্রয়াত সনিয়া-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ প্যাটেল

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest