Site icon The News Nest

ফেসবুকের ই-মেল পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা রুখল কলকাতা পুলিস

facebook

A smartphone user shows the Facebook application on his phone in the central Bosnian town of Zenica, in this photo illustration, May 2, 2013. Facebook Inc's mobile advertising revenue growth gained momentum in the first three months of the year as the social network sold more ads to users on smartphones and tablets, partially offsetting higher spending which weighed on profits. REUTERS/Dado Ruvic (BOSNIA AND HERZEGOVINA - Tags: SOCIETY SCIENCE TECHNOLOGY BUSINESS) - RTXZ81J

#কলকাতা: ফেসবুকে স্টেটাস আপডেট করে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিল যুবক। স্টেটাস নজরে আসা মাত্রই ফেসবুক ই-মেইল করে লালবাজারে। ই-মেইল পেয়ে তৎক্ষনাৎ যুবকের আত্মহত্যা রুখল কলকাতা পুলিস।

জানা গিয়েছে, কসবা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক গতকাল ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেই ভিডিও-এর শুরুতেই থেকেই বোঝা যায় যে, পিকনিক গার্ডেন এলাকায় আত্মহত্যা করতে চলেছেন ওই যুবক। বিষয়টি নজরে পড়তেই পদক্ষেপ নেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। দ্রুত তাঁদের তরফে মেল করে বিষয়টি জানানো হয় সাইবার সেলে। ফেসবুক থেকে পাওয়া সেই মেলের উপর ভিত্তি করেই কসবা থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সাইবার সেলের আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিসের অপরাধ দমন শাখা এবং সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্যে যুবকের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করা হয়।এরপর এক মুহূর্ততে সময়ও নষ্ট না করে তড়িঘড়ি ফেসবুক সূত্রে পাওয়া ঠিকানায় হাজির হন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকেই সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবক। সেই কারণেই এদিন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। পরিকল্পনা ছিল অবসাদ, সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মৃত্যুর পথ বেছে নেওয়া। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল ফেসবুক ও পুলিশ।স্থানীয় থানার পুলিশকে নিয়ে যুবকের বাড়িতে যান আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মনোবিদও। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলে তাঁর আত্মহত্যা প্রবণতা সাময়িক ভাবে দূর করেন তাঁরা। জানা যায়, শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলেও ওই যুবকের চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন মনোবিদরা।
Exit mobile version