Site icon The News Nest

পুজোর আগেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র টাকা পাবেন মহিলারা, দ্রুত কাজ সারার নির্দেশ প্রশাসনের

lokshmi

দুর্গাপুজোর আগেই রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়তে চলেছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর টাকা। নবান্ন সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর যে ফর্ম জমা পড়েছে, তা দ্রুত খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফার ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar)শিবিরের কাজ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারি পরিষেবা নিয়েছেন প্রায় চার লক্ষের কাছাকাছি রাজ্যের বাসিন্দা। যার মধ্যে সব থেকে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে। তারপরই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে জমা পড়া আবেদনপত্রের সংখ্যা। ‘খাদ্যসাথী’ এবং জাতিগত শংসাপত্র নেওয়ার ক্ষেত্রেও বহু সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে।

গত ১৬ আগস্ট থেকে রাজ্যে শুরু হওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের কাজ বুধবার শেষ হয়েছে। মোট ৯২ হাজার ৪৮টি শিবির করার কথা ছিল। যার মধ্যে ৯১ হাজার ৯০৩টি শিবির করা হয়েছে। শিবিরে এসেছেন ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৯১ জন। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ আবেদন জমা দিয়েছেন ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৮টি। এর পরেই রয়েছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র (Swasthyasathi) আবেদনের সংখ্যা, ৬৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৫১। গতবার এই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এবার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ শুরু হয়েছে। তাই তাতে আবেদনের সংখ্যা এবার সবচেয়ে বেশি।

ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়। নবান্নের দাবি, মহিলা ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সবাইকে সেই প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে।

গত অগস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘যাঁরা যোগ্য, তাঁরা সকলেই (‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম) পাবেন। ২৫-৬০ বছরের মধ্যে পাবেন। যাঁরা সরকারি চাকরি করেন না বা পেনশন পান না। সরকারি চাকরি করেন বা পেনশন পান যাঁরা, তাঁরা ছাড়া সাধারণ মা-বোনেরা পাবেন।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই ফর্ম পেয়ে যাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আমরা একটা নিয়ম করেছি। বাড়ির সবথেকে বয়স্ক মহিলার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। ধরুন, সেই বাড়িতে তিনজন মহিলা আছেন। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে। তাঁদের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। তাঁদের অভিভাবকের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে ওই বাড়ির বউ-মেয়েরা পাবেন।’

 

Exit mobile version