Site icon The News Nest

আজই BJP-র প্রার্থীতালিকা প্রকাশ, দলের পুরনো কর্মীদের উপরই আস্থা গেরুয়া শিবিরের

bjp murlidhar

আজই প্রকাশিত হতে চলেছে কলকাতা পুর নির্বাচনের বিজেপির প্রার্থীতালিকা। আর আজই শুরু হচ্ছে কলকাতা পুর নির্বাচনের মনোনয়ন। চলবে বুধবার পর্যন্ত। তার আগে সোমবার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার পর চূড়ান্ত হবে তালিকা।

হাতে আর মাত্র দু’টো রবিবার। তারপরই ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার হাইভোল্টেজ নির্বাচন। রবিবারের প্রচারে মহানগরের অলিগলিতে যখন তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসের (Congress) প্রার্থীরা বেরিয়ে পড়েছে। তখন এদিনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারল না পদ্মশিবির। দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু আসনে এখনও পর্যন্ত নাম চূড়ান্তই করে উঠতে পারা যায়নি। সেই আসনগুলি নিয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। তিনি জানান, “তালিকায় মহিলা ও যুবদের প্রাধান্য থাকছে। এছাড়া, সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।”

রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, তালিকায় কোনও চমক থাকছে না। চমক দিয়ে বা বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের থেকে কাউকে প্রার্থী করার ঝুঁকি এবার পুরভোটে নিতে চাইছে না বঙ্গ বিজেপি। তাই ভরসা রাখা হয়েছে পুরনো কার্যকর্তাদের উপরই। যদিও দলের একাংশের কথায়, গত বিধানসভা ভোটের ঠিক উলটো ছবি এবার। কোনও সেলিব্রিটি বা চমকদার কেউ পুরভোটে পদ্মশিবিরে প্রার্থী হতেও সেভাবে আগ্রহী নন।

রবিবার প্রথম দফায় কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকেই দলের নির্বাচনী কার্যালয় হেস্টিংসে তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠক করেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। রাত পর্যন্ত দু’দফায় বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকায় ৬০ শতাংশেরও বেশি নতুন মুখ থাকছে। দলের পুরনো কার্যকর্তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রার্থী হচ্ছেন। আবার রাজ্য কমিটির নেতারা অনেকেই প্রার্থী হতে রাজী নন।

প্রার্থী হতে পারেন RSS ও তার অন্যান্য শাখা সংগঠনের সদস্যরা।  যুব-মহিলা-এসসি, এসটি মোর্চা থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে। প্রার্থীতালিকায় বিভিন্ন পেশার মানুষের ভারসাম্য রাখা হয়েছে। প্রার্থী হতে পারেন ভোটপরবর্তী হিংসায় নিহত দলীয় কর্মীর পরিজনরাও। তবে কলকাতা পুরসভার মুসলিম অধ্যুষিত প্রায় ৪০টি ওয়ার্ডে বিজেপি কী করে সেটাই দেখার।

Exit mobile version