পামেলা কান্ড: ১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত রাকেশ সিংয়ের, ‘হোয়াসঅ্যাপ চ্যাটে’ গোয়েন্দা-নজর

রাকেশ সিং কোথা থেকে কোকেন পেতেন? হেফাজতে নিয়ে তারই সূত্র খুঁজবেন গোয়েন্দারা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউ আলিপুর মাদক কাণ্ডে (New Alipur Drug Case) গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা রাকেশ সিং (Rakesh Singh)’কে ১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া রাকেশ সিংয়ের দুই ছেলে সাহেব ও শুভমের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

বুধবার রাকেশকে আদালতে হাজির করানোর সময় উত্তেজনা তৈরি হয়। রাকেশের অনুগামীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়়েন। একটা সময়ে ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়েও যান রাকেশ। পুলিশের গাড়ি থেকে মাথা বার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নাম নেন রাকেশ। কোনওক্রমে তাঁকে কোর্ট লকআপে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে রাকেশকে বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল জিতেন্দ্রকুমার সিংহ ওরফে জিতুকে। তাঁকেও পাঁচদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: বনশালির জন্মদিনে মুক্তি পেল ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র টিজার, যৌনকর্মীর ভূমিকায় দুর্ধর্ষ আলিয়া, দেখুন…

তবে আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, মাদক আইনে মাদক-সহ ছাড়া কাউকে এ ভাবে গ্রেফতার করা যায় না। মাদকসেবনের জন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। উদাহরণ স্বরূপ তাঁরা অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর কথাও বলছেন। তাঁদের বক্তব্য, রিয়াকে পুলিশ মাদক আইনে গ্রেফতার করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে মাদকপাচারের অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি।

তবে পুলিশের দাবি, রাকেশকে গ্রেফতার করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ, মাদক মামলায় ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে পাঠানো রাকেশের বেশ কিছু এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং ছবি পুলিশের হাতে এসেছে। তা খতিয়ে দেখার পর তদন্তকারীরা মনে করছেন, ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারও হাত থাকতে পারে। যাঁদের নাম উঠে আসছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার আগে আরও তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের উপরেই জোর দিচ্ছেন গোয়েন্দারা। পামেলার মতোই রাকেশের বিরুদ্ধেও মাদক-বিরোধী আইনের এনডিপিএস (নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) ২৭ এবং ২৯ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, মাদক মামলায় তিনি সরাসরি জড়িত। যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় বিজেপি-র রোড-শো ঘিরে রণক্ষেত্র আমহার্স্ট স্ট্রিট, শুভেন্দু-অর্জুনকে লক্ষ্য করে জুতো, ঝাঁটা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest