Site icon The News Nest

বিজেপির নবান্ন অভিযানে স্তব্ধ মধ্য কলকাতা, হেস্টিংসে চলল জল কামান

bjp rally

বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল মধ্য কলকাতা। বিজেপি সমর্থকদের আটকাতে পুলিশ বিভিন্ন পথে ব্যারিকেড বসানোর কারণে সাধারণ যানবাহনের পাশাপাশি বহু অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়ে। যদিও অ্যাম্বুল্যান্স-সহ অত্যাবশকীয় পরিষেবার গাড়িগুলিকে অবশ্য ছাড় দিয়েছিল পুলিশ। তাদের আটকানো হয়নি। কিন্তু ব্যারিকেডের জট কাটিয়ে এগোনো তাদের পক্ষেও ছিল যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে চাপে পরে যান পরিজনেরা।

বেলা গড়াতে বিজেপি সমর্থকেরা পথে নামার পরে ক়ড়াকড়ি আরও জোরদার হয়। ফলে হাওড়া ও কলকাতার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বড়বাজার, পোস্তা, স্ট্যান্ড রোড-সহ মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় নিশ্চল গাড়ির সারি।

আরও পড়ুন : বিজেপির নবান্ন অভিযানে ইটবৃষ্টি হাওড়া ব্রিজে, বোমাবাজি শহরে, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিচার্জ পুলিশের

সাধারণ যানবাহনের পক্ষে ব্যারিকেড পেরিয়ে হাওড়া-কলকাতা যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়ে। ট্যাক্সি বা বাসে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কখন, কোন পথে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে তা বুঝতে পারছিলেন না চালকেরা।এই পরিস্থিতিতে অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। তারই মধ্যে অভিযানকারীদের সঙ্গে ব্রিজের উপর পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় ব্রিজর উপর ইটবৃষ্টিও।

এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হেস্টিংস। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে জল কামান চালানো হয় বিজেপি কর্মীদের উপর। তার আগে বিজেপির জমায়েতের দিক থেকে পুলিশের দিকে উড়ে যেতে থাকে ইট।জল কামান চলার পরেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় গেরুয়া জমায়েত।

বিজেপির পরিকল্পনা ছিল চারটি মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে.এগিয়ে যাবে তারা। গত কালই স্যানিটাইজ করার জন্য দুদিন নবান্ন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে সরকার। যদিও তাতে বিজেপি কর্মসূচি স্থগিত করেনি। বরং গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে পালিয়ে যেতে পারেন কিন্তু বিজেপি রাস্তায় নামবেই।

গতকাল মধ্যরাতে বিজেপি রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে তেজস্বী সূর্য বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার প্রমাণ করতে চেষ্টা করবে বিজেপি বিশৃঙ্খল দল। কিন্তু তা যাতে না হয় সে ব্যাপারে যুব মোর্চার কর্মীরা সতর্ক থাকবে। কিন্তু মাঠের আন্দোলনে সেই নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে এদিনের কর্মসূচিতে পুলিশের দিকে যেমন উড়ে গিয়েছে আধলা ইট তেমনই ছোড়া হয়েছে ব্যাগে ভর্তি করে আনা পচা টমেটো, পচা ডিমও।

আরও পড়ুন : ট্রেন্ডিংয়ে নম্বর ওয়ান ‘বাবা কা ধাবা’, কেন জানেন কী ? কেনই বা প্রচার স্বরা-সোনমদের?

 

Exit mobile version