উপনির্বাচন না করার ছক কষেছে বিজেপি। এই অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মুখে। সেটাতেই সিলমোহর পড়েছিল তথাগত রায়ের ফেসবুক পোস্ট করার পর। কারণ তিনি সেখানে লিখেছিলেন, একটা থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন কি করা যায়? এই ফেসবুক পোস্টের পর থেকেই বিজেপির শীর্ষ নেতারা নয়া পরিকল্পনা ছকে ফেলেন। তাই নানা কারণ তুলে চিঠি লিখেছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। সূত্রের খবর, এই কারণেই চলতি সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বক্তব্য এখন উপনির্বাচন সম্ভব নয়। তার জন্য ৮টি কারণের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিজেপি আর হারের মুখ দেখতে চাইছে না। তাই এভাবে উপনির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে। নির্বাচন কমিশনের রীতি অনুযায়ী, নির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করে ফেলতে হয়। সুতরাং উপনির্বাচন হওয়া উচিত নভেম্বর মাসের মধ্যে। তাই নানা ছক করে গড়িমসি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন :Relationship Tips: ঝগড়ার পরেই সঙ্গীর ঠোঁটে ঠোঁট রাখুন, পাবেন মিলনের আসল আনন্দ
সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা না থাকা নির্ভর করছে। কারণ তাঁকে আগামী আর দু’মাসের মধ্যে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। এই সাত কেন্দ্রে নির্বাচন ঝুলে থাকায় এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।
আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো এই ব্যাপারেও করোনার বিপদ ছাপিয়ে তৃণমূল-বিজেপি বিবাদই মুখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন তীব্র হছে দু’দলের সংঘাত। গেরুয়া শিবির স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা এখন উপনির্বাচন চায় না।
বিজেপি এই ব্যাপারে কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপকে হাতিয়ায় করেছে। এখন ভোট করার বিরোধিতা করে তারা বলছে, করোনা যদি নিয়ন্ত্রণেই থাকবে তাহলে লোকাল ট্রেন চলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না কেন? কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।এখন দেখার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে কী বলে কমিশন। বাংলার শাসকদল এর আগে দিল্লি ও কলকাতায় কমিশনের দফতরে দু’বার দেখা করে উপনির্বাচন করার আর্জি জানিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন : জ্যোতিষ কথা : কপালের গড়ন দেখে বুঝে নেওয়া যায় মানুষের চরিত্র!