আমাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিত রাকেশ, কোকেন-কাণ্ডে ফের বিস্ফোরক পামেলা

তিনি কোকেন নিয়ে যাচ্ছিলেন না, বরং তাঁর অজান্তে গাড়িতে কোকেন রাখা হয়েছিল। এমন দাবিও করেছেন বিজেপি নেত্রী। 
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ তাঁকে ‘অন্য চোখে’ দেখতে শুরু করেছিলেন। তাঁকে শারীরিক হেনস্থাও করতেন রাকেশ। রাকেশই তাঁর গাড়িতে মাদক রাখার ব্যবস্থা করে তাঁকে পুলিশের জালে ফাঁসিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে পুলিশের গাড়িতে বসে চিৎকার করে এমনই বিস্ফোরক সব অভিযোগ করলেন মাদক পাচারে ধৃত বিজেপি যুবমোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী।

এদিন পামেলা বলেন, ‘আমি জানতাম আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হবে। আমার প্রতি আগ্রহ ছিল রাকেশের। আমাকে অন্য চোখে দেখত। আমি পাত্তা দিতাম না বলে আমাকে শারীরিক নিগ্রহ এবং শ্লীলতাহানি করেছিল।‘ এমনকি তাঁর দাবির স্বপক্ষে সব যুক্তিপ্রমাণ তিনি তৈরি রেখেছেন বলেও এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন পামেলা গোস্বামী। তিনি কোকেন নিয়ে যাচ্ছিলেন না, বরং তাঁর অজান্তে গাড়িতে কোকেন রাখা হয়েছিল। এমন দাবিও করেছেন বিজেপি নেত্রী।

পামেলা আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই আমি জানতাম আমাকে হয় মাদক মামলা অথবা অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হবে। আমাকে রাকেশ সিং খুনের হুমকি দিয়েছে। বলেছিল লোক দিয়ে আমার মার্ডার করিয়ে দেবে।’ তবে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বা সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পামেলা। যদিও ১৯ ফেব্রুয়ারি রাকেশকে কৈলাস ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছিলেন পামেলা গোস্বামী। এদিন পুলিশের গাড়িতে বসেই বিজেপি জিন্দাবাদ এবং জয় শ্রী রাম স্লোগান তোলেন কোকেন-কাণ্ডে ধৃত এই বিজেপি নেত্রী।

আরও পড়ুন: কাগুজে বাঘ! জোট না হলে একাই লড়ার হুঙ্কার আব্বাস সিদ্দিকির

তবে, এবার পুলিশের প্রতি সুর নামিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘পুলিশি তদন্তে তাঁর আস্থা রয়েছে।‘  পামেলার আরও বক্তব্য, ‘‘পুলিশ একেবারে সঠিক তদন্ত করছে। আমার কাছে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আছে। আমার ফোনে সমস্ত রেকর্ড করা আছে। রাকেশ আমায় অন্য চোখে দেখা শুরু করেছিল। কিন্তু আমি রাজি না-হওয়ায় ও আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে। রাকেশের লোকই আমার গাড়িতে মাদক রেখেছিল।’’ এর পরেই পামেলা চিৎকার করতে শুরু করেন, ‘‘সত্যের জয় হোক। সত্যমেব জয়তে। ভারত মাতা কি জয়!’’

ধৃত পামেলাকে আবার পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ। আদালত পামেলা এবং তাঁর সঙ্গেই ধৃত আরও দু’জনকে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি আইনজীবী জানান, ওই মাদক কারবারের তদন্তের স্বার্থে তাঁরা পামেলা এবং ধৃত রাকেশকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান। তাই পামেলাকে যেন আবার পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। পক্ষান্তরে, পামেলার আইনজীবী আদালতে জানান, পুলিশ পামেলাকে দিয়ে তারা যা চাইছে, সে সব বলিয়ে নিচ্ছে!

আরও পড়ুন: রাকেশকে নিয়ে বেসুরো রূপা, উনি মুখপাত্র নন,ঢোঁক গিলে বললেন দিলীপ

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest