প্রাক্তনের প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করলেন বর্তমান। তবে শব্দচয়নে কাড়লেন নজরও।শনিবার সন্ধ্যায় হুগলির উত্তরপাড়ায় একটি নার্সিংহোমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনাবসান হয় প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরীর। বেশি রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানেই তিনি সুদর্শনবাবুকে কমরেড বলে সম্বোধন করেছেন।
ব্রাত্য লিখেছেন, “বিপিএসএফ এবং এসএফআই-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, প্রাক্তন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী, শ্রীরামপুরের প্রাক্তন সাংসদ, সিপিআই (এম) হুগলি জেলার প্রাক্তন সম্পাদক, সিপিআই (এম) রাজ্য কমিটির সদস্য, অধ্যাপক কমরেড সুদর্শন রায়চৌধুরী আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেছেন। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে, আমি গভীর ভাবে মর্মাহত ও শোকস্তব্ধ।”
আরও পড়ুন : BJP ছেড়েই ‘শ্রীমান’ দিলীপকে খোঁচা বাবুল সুপ্রিয়র, আক্রমণ শানালেন ফেসবুকে
রবিবার উত্তরপাড়ার নার্সিংহোম থেকে সুদর্শনবাবুর দেহ নিয়ে প্রথমে যাওয়া হবে তাঁর কোন্নগরের বাড়িতে। সেখান থেকে শ্রীরামপুর সিপিএম জেলা দফতর। তারপর আলিমুদ্দিন স্ট্রিট হয়ে এসএসকেএমে পৌঁছবে প্রয়াত নেতার দেহ। তাঁর দেহ দানের অঙ্গীকার করা ছিল।
সুদর্শন এবং ব্রাত্য দুজনেই প্রেসিডেন্সির পড়ুয়া ছিলেন। দলীয় বৃত্তের বাইরেও বাম মনস্ক বহু মানুষের সঙ্গে প্রয়াত নেতার নিত্য যোগাযোগ ছিল। রাজনৈতিক মত, পথ আলাদা হলেও একদা নকশাল নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়রা ছিলেন সুদর্শনবাবুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। হতে পারে প্রেসিডেন্সির অনুজ ব্রাত্যর সঙ্গেও সুদর্শনবাবুর সখ্য ছিল। তা ছাড়া নাটকের প্রতি অন্য টান ছিল প্রয়াত সিপিএম নেতার। বহুবার ঘনিষ্ঠ আলোচনায় বলতেন, নিষিদ্ধ হওয়ার পর কী ভাবে তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে গভীর রাতে কলকাতার রাস্তায় উত্পল দত্তের নাটক কল্লোল-এর পোস্টার লাগাতেন। সেটাও কারণ হতে পারে ব্রাত্যর কমরেড সম্বোধনের।
আরও পড়ুন : দীর্ঘ দিন অন্তর্বাস না পরায় স্তনের আকার নিয়ে চিন্তিত? ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়